যশোর অফিস : রবিবার সকালে যশোরের ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ শাহানুর কবিরকে কলেজে প্রবেশের চেষ্টা রুখে দিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এনামুল হক এবং সাবেক পৌরসভা কমিশনার বাবলু ঝিকরগাছা মহিলা কলেজে আসেন। উপাধ্যক্ষ মোঃ ইলিয়াস হোসেনকে সাথে নিয়ে শিক্ষক মিলনায়তনে শিক্ষকদের নিয়ে বসেন। বহিষ্কৃত এনামুল হক শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে আবারও আহ্বান জানাচ্ছি অধ্যক্ষ শাহানূর কবিরের পক্ষ থেকে কিছু টাকা নিয়ে তাকে কলেজে যোগদান করানো হোক। একথা শুনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা এনামুল ও বাবলুর উদ্দেশ্যে বলেন, কলেজের নিয়োগ বাণিজ্যের সমুদয় টাকা এবং শিক্ষক কর্মচারীদেরকে হয়রানি করে হাতিয়ে নেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় তাকে কলেজে ঢুকতে দেয়া হবে না। বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের দাবির কথা বুঝে এনামুল হক বলেন, আসলে অধ্যক্ষ যে কাজ করেছেন তাতে আর তাকে কলেজে আসতে দেয়া যায় না।
অন্যদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ খবর পান মহিলা কলেজের দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষকে কলেজে প্রবেশের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমন খবর পেয়ে তারা মহিলা কলেজে প্রবেশ করেন। ছাত্রদের প্রবেশ করা দেখে বিএনপির পক্ষ থেকে আসা ওই দুইজন কলেজ ত্যাগ করেন। বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনের ছাত্র নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের সাথে বসে অধ্যক্ষের সকল দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করেন। তারা চলে যাওয়ার সময় বলেন, দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষর কলেজে প্রবেশের চেষ্টা করলে আমরা তা প্রতিহত করব।অধ্যক্ষের দুর্নীতির এই তালিকা আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেব।
স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, শনিবার রাতে মহিলা কলেজের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান রশিদের বাড়িতে পলাতক ও দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ শাহানুর কবীর, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এনামুল হক গোপন বৈঠক করেন।
ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,অধ্যক্ষ স্যারের পক্ষ বিপক্ষে দুইটি সংগঠনের লোকজন এসেছিলেন।