ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কাশিপুর বেদে পল্লীতে এক পক্ষের হামলায় ১০ বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এসময় হামরাকারীরা কমপক্ষে ৮ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। তাদের মধ্যে সেলিনা বেগম ও কায়েশ নামে দু’জনকে আশংকাজনক অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাাল সাড়ে ৬টার দিকে কাশিপুর বেদেপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, দির্ঘদিন ধরে বেদেপল্লীর দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এরমধ্যে একপক্ষের নেতৃত্বে দিচ্ছে মনিরুল ইসলাম এবং আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছে রাসেল হোসেন। শনিবার সকালে রাসেল গ্রুপের লোকজন মনিরুল গ্রুপের লোকজন হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এসময় মনিরুল গ্রুপের নারী-পুরুষকে পিটিয়ে জখম করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এক গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী রাসেল জানায়, তারা আগে আমাদের বাড়িতে গিয়ে মারধর করার সময় আমি চিৎকার দিলে তখন মারামারির ঘটনা ঘটে। অপর গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী মনিরুল ইসলাম জানায়, রাসেল গ্রুপের ভয়ে আমরা দীর্ঘদিন বাড়িতে আসতে পারিনি। গতকাল আমার মা মারা গেছে এ সংবাদ পেয়ে আমি বাড়িতে আসলে তারা আমাদের এ ধরনের হামলা ঘটায়। আমাদের ৮ জন নারী-পুরুষকে তারা মেরে আহত করেছে। ৩ জনের অবস্থা আশংকাজন তাদেরকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা রাতে বেদেপল্লীর দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ (৪৮) নিহত হয়। নিহত আরিফুল ইসলাম বেদেপল্লীর রাসেল গ্রুপের নেতৃত্ব দিত। আরিফ হত্যার পর থেকে বেদেপল্লীতে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছে। গত আড়াই মাসে একাধিকবার হামলা ও একাধিক মামলার ঘটনা ঘটেছে। কালীগঞ্জ থাানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা ঘটুনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।