জন্মভূমি ডেস্ক : কালীগঞ্জ পৌর শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি আবুজর গিফারী (বামে) ও শিবিরকর্মী শামীম হোসেন (ডানে)।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি আবুজর গিফারী ও শিবিরকর্মী শামীম হোসেনকে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজ্ঞ আমলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালীগঞ্জ আদালতে আবুজার গিফারীর বাবা নুর ইসলাম ১১ জন ও শামীম হোসেনের বাবা রুহুল আমিন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহারভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আমলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালীগঞ্জ আদালতের বিচারক রোমানা আফরোজ।
দুটি মামলার আসামিরা হলেন- ঝিনাইদহের সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, কালীগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা আনোয়ার হোসেন, সাবেক এসআই নিরব হোসেন, সাবেক এসআই আশরাফুল আলম, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, সাবেক এসআই নাসির হোসেন, সাবেক এসআই গাফ্ফার, সাবেক এসআই ইমরান হোসেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, সাবেক এমপির একান্ত সচিব আব্দুর রউফ, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, আলী হোসেন অপু, মহিদুল ইসলাম মন্টু ও চাপালী গ্রামের রাব্বি।
মামলার বিবরণে আবুজার গিফারীর বাবা নুর ইসলাম উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ জুম্মার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে চাপালী লস্কারপাড়া থেকে দুইটা মোটরসাইকেলে ৪ জন সাদা পোশাকধারী জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। চিৎকারে বাড়ি থেকে গিফারীর মা আসলে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এরপর সাবেক সংসদ সদস্য, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন অফিসে যোগাযোগ করলেও তারা এড়িয়ে যায়। পরে ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল যশোর সদরের লাউখালি গ্রামে শ্মশানঘাট এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
আরেক মামলার এজাহারে শামীম হোসেনের বাবা রুহুল আমিন উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে শহরের মাহতাব উদ্দিন কলেজ এর পূর্ব পাশের গেটের সামনে থেকে দুই মোটরসাইকেলে থাকা সাদা পোশাকধারী ৪ জন তাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন অফিসে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাইনি পরিবার। পরে ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল যশোর সদরের লাউখালি গ্রামে শ্মশানঘাট এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশিদ বিশ্বাস বলেন, আবুজার গিফারী ও শামীম হোসেনকে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলার আবেদন করেছিল নিহতদের বাবা। মামলাটি আমলে নিয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।