ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নে পূর্বাশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে সাগর হোসেন (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। নিহত সাগর চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইসলাম বাজারপাড়ার বাবু হোসেনের ছেলে ও পূর্বাশা পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার। গত সোমবার দিনগত রাত ১২টার দিকে সাধুহাটি ইউনিয়নের বোড়াই গ্রামের রাতুল মার্কেটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। এসময় চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান বাসের চালক ও হেলপার।
আহতরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার গোকুলখালী গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে আলামিন (২৪), দামুড়হুদা উপজেলার পোতারপাড়ার আলতাব হোসনের ছেলে শাহাবুল ইসলাম (৬০), একই উপজেলার জয়রামপুরের ফরজ আলীর ছেলে মিরাজ (২২), দর্শনা পুরাতন বাজারপাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে নাহিদ (৩৫), চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার আকছেদ আলীর ছেলে গোলাম আজম (৫৭), সুমিরদিয়া নিলার মোড় এলাকার কটা ফকিরের মেয়ে মেহেরুন (৩০), জীবননগর উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের দিদার মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), ঢাকার মোহাম্মদপুরের মহসিন তালুকদারের ছেলে তাকি। এ ছাড়া আটকে পড়া বাস যাত্রীদের উদ্ধার করার সময় আহত হন হোসেন আলী নামের একজন ফায়ারফাইটার।
জানা যায়, সোমবার রাত সোয়া ১১টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার থেকে পূর্বাশা পরিবহনের একটি এসি বাস ১৮ থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাসটি ঝিনাইদহ সাধুহাটি ইউনিয়নের বোড়াই এলাকায় পৌঁছালে রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাস ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাসের সুপারভাইজার সাগরের। তবে বাসের চালক ও হেলপারের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের ৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। আহত আরও কয়েকজন যাত্রী স্থানীয়দের সহযোগিতায় চিকিৎসা নেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যতর চিকিৎসক আব্দুল কাদের বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বাস দুর্ঘটনায় আহত ছয়জনকে নিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে একজনকে ভর্তি রেখে পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত বাসের যাত্রীদের বরাত দিয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, পূর্বাশা পরিবহনটি ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল। এসময় সামনে থাকা রয়েল একপ্রেস পরিবহনের একটি বাসকে ওভারটেক করতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি রাস্তার পাশে খাদে উল্টে যায়। বাসটিতে ১৮ থেকে ২০ জন যাত্রী ছিল। রাত পৌনে দুইটা পর্যন্ত আমরা উদ্ধার কাজ চালিয়েছি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত