
ডেস্ক রিপোর্ট : আষাঢ়ের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার মানুষের জীবন। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে চরমে। শহরে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করলেও মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে।
দেখা গেছে, আষাঢ় মাসের প্রথম থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর থেকে টানা ২৩ দিন ধরে কখনো মুষলধারে আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বর্ষণে শহরের বেশ কয়েকটি সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পাড়া -মহল্লায় বৃষ্টির পানি থৈ থৈ করছে।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে সরজমিনে জেলা শহরে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে যানবাহন খুবই কম। বৃষ্টির মধ্যে অল্পকিছু রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই স্থবিরতা বিরাজ করছে জনজীবনে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই। শুধু জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বের হয়েছেন রিকশাচালক ও শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা।
রাস্তাঘাটে মানুষ কম থাকায় তারাও পড়েছে বিপাকে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা খুব কম। অনেকেই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ইজিবাইক চালক মীর ঝন্টু জানান, ‘আষাঢ় মাসের শুরু থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে মানুষ কম। আমরা বৃষ্টির মধ্যে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হয়েছি কিন্তু যাত্রী পাচ্ছি না।’
দিনমজুর রফিকুল মিয়া জানান, ‘বৃষ্টির কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। আমাদের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
রিক্সাচালক আমির হোসেন জানান, ‘বৃষ্টির কারণে শহরে তেমন লোকজন নেই। তারপরও ছাতা মাথায় দিয়ে টুকটাক ভাড়া নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যদি দুই একটা যাত্রী পাই। ভাড়া না পেলে সংসার চালাবো কীভাবে?’
উপজেলাগুলোর অনেক নিম্নাঞ্চলের ফসলি ক্ষেতও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে আমনচাষীরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ষষ্টি চন্দ্র রায় জানান, বর্ষাকালে তো বৃষ্টি হবেই। বৃষ্টির এই পানি স্বল্প সময় জমে থাকবে, তাই আমন চাষে তেমন কোনো ক্ষতির সম্ভবনা নেই।