জন্মভূমি ডেস্ক
করোনা সংকটেও চলতি অর্থবছরে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৫ থেকে ৬ শতাংশ। তবে সব চাবিকাঠি কোভিড-১৯ এর হাতে।
টিকা কার্যক্রম জোরদার হলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা সচল থাকবে। বংলাদেশের জনগণের জন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহে ঋণ ও অনুদান মিলে ৯৪ কোটি ডলার দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার সমান ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ৮৪ কোটি টাকা।
বুধবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। একই সঙ্গে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সামলাতে বিভিন্ন সহায়তার বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের। এসময় বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এডিবি ইতোমধ্যেই ৬৫ কোটি ডলার ঋণ ও ৭ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে করোনা সংকট মোকাবিলায়। দুই কর্মসূচির আওতায় এডিবি আরো ৫০ কোটি ডলার দেবে এডিবি। এই ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া টিকা কর্মসূচির জন্য দেবে ৯৪ কোটি ডলার। ২০২১ থেকে ২০২৩ অর্থবছরে নানা প্রকল্পে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারি সামাল দিতে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশে রফতানির গতি বাড়ায় প্রবৃদ্ধি বাড়বে। একই সঙ্গে সরকারের দেওয়া প্রণোদনার সুফল মেলার পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। আগামী অর্থবছরে আরও বেড়ে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রেমিটেন্সের শক্তিশালী প্রবাহ অব্যাহত থাকায় ব্যক্তিখাতে ভোগব্যয় বাড়বে। বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশের উন্নতি হলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগেও গতি আসবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশেও ধীরে ধীরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির শক্তিশালী ধারায় ফিরবে। অঞ্চল হিসেবে এবছর দক্ষিণ এশিয়ার পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সবচেয়ে দ্রæত হবে।