জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রায় এক সপ্তাহ কিডনি আক্রন্ত রোগীদের ডাইলোসিসের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট অকেজো রয়েছে। অন্যদিকে প্যাথলজী বিভাগেও বিভিনন্ন রি-এজেন্ট না থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হাসপাতালের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানাগেছে, হাসপাতালের পরিচালক, কর্মকর্তাবৃন্দ, ডাক্তার, কর্মচারিদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যার কারণে এই প্রথম হাসপাতালে নেফ্রোলজী ও প্যাথলজী বিভাগে চরম বেহাল অবস্থা বিরজা করছে। গত ১৯ মার্চ থেকে কিডনি রোগে আক্রন্ত রোগীরা ডাইউলোসিস করাতে পারছেননা। প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে ডাইলোসিস বন্ধ থাকায় ভর্তি থাকা ৩০ জন এবং প্রতিদিন ৬০ জন কিডনি আক্রান্ত রোগী ডাইলোসিস করে থাকেন। এর মধ্যে ভর্তি থাকা ৩০ জন রোগীর আবস্থা বিপদজনক। এরা মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি হন হাসপাতালে তার ডাইলোসিস করে কিছুটা সুস্থ হন। গত এক সপÍাহ ধরে ভর্তি থাকাসহ প্রতিদিন আসা রোগী জীবন ঝুঁকির মধ্যে। এ সব রোগীর মধ্যে কেউ মারা গেলে এর দায়ভার কে নেবেন এমন প্রশ্নে নির্বাক রয়েছেন কর্মকর্তরা।
অন্যদিকে প্যাথলজী বিভাগে ডায়াবেটিসের রি-এজেন্ট (মেডিসিন) নেই প্রায় ১ সপ্তাহ। এ ছাড়া গত চারদিন আগে শেষ হয়েছে হরমন, হিমোগেøাবিন, থাইরয়েড, ইউরি এসিড ও লিপিড প্রোপাইলের রি-এজেন্ট শেষ হয়েছে গত ৫ দিন। এ সব রি এজেন্ট না থাকায় রক্তের বিভিন্ন টেস্ট করতে আসা রোগীরা টেস্ট করতে না পেরে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। খুলনা বিভাগের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল হারাতে যাচ্ছেন নাম, জস ও খ্যাতি। কৌশলে একটি গ্রæপ হাসপাতালের সুনাম ক্ষুন্ন করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ডাক্তার জানান। খোদ হাসাপতালের পরিচালক ড. মুন্সি রেজা সেকান্দার রোগী মারা গেলেও তার কিছু করার নেই বলে সাংবাদিকদের সামনে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলে প্যাথলজী বিভাগের রি এজেন্ট যে ঠিকাদাররা সরবরাহ করেন, তারা সরকারি দরের চেয়ে বেশী দর দিয়ে থাকেন। সরকারি নিয়মতে টেন্ডারের মাধ্যমে দর ঠিক করে মালামাল সরবরাহ করতে বলা হয়েছে এ জন্য দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি সহযোগিতা করছেন বলে তিনি জানান। সরকারি নিয়ম মেনে মালামাল সরহবরাহ করলে তিনি গ্রহণ করবেন, আর তা না হলে রোগী মারা গেলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। পরিচালকের এ মন্তব্য নিয়ে হাসপাতাল জুড়ে আলোচনা, সমালোচনা চলছে। তবে ডাইলোসিসের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহ স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়েছে। এ ভাবে চলছে চিঠি চালাচালি। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের একজন প্রকৌশলী তদন্তকরে রিপোর্ট দিয়েছে। সর্ব মহলে জানানো হয়েছে কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। এ জন্য আরো দুই, তিনদিন সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।