
জন্মভূমি রিপোর্ট : দাকোপ উপজেলাধীন সুতারখালী ইউনিয়নের মধ্যে গুনারী মৌজা (বদ্ধ) জলমহালটি বাংলা ছয় বছর মেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইজারা পেতে শুনারী কাটাখালী মৎস্যজীবী সমিতির পক্ষে আবেদন করেন সমিতি।
সমিতির পরিচালক মো: আবুল বাশারের কাছ থেকে ইজারা পাইয়ে দেয়ার নামে দফায় দফায় টাকা নিয়েছেন জলমহাল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মো: জাহাঙ্গীর আলম (সার্টিফিকেট পেশকার)। এ নিয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছেন সমিতির পরিচালক মো: আবুল বাশার। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, জলমহাল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মো: জাহাঙ্গীর আলম প্রথমে অনাপত্তি সনদপ দেয়ার জন্য গত বছরের আট নভেম্বার বার হাজার টাকা ও সার্ভেয়ার থেকে গুনারী মৌজা(বদ্ধ) খালটি আউট করে দিবে বলে পনের নভেম্বার পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং দুই দফায় আনুমানিক বিশ হাজার টাকার মাছ সোনাডাংগা বাসস্ট্যান্ড বটতলা থেকে আমার কাছ থেকে নেয়। এর পর আমি সমিতির সকল দপ্তর থেকে আমার সমিতির পক্ষে সকল তদন্ত প্রতিবেদন পাই।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাহাঙ্গীর আলম আমাকে বার বার ফোন দিয়ে দেখা করতে বললে গত ১৬ ডিসেম্বর বিকাল পাঁচটায় তার অফিসে দেখা করতে যাই। তখন তিনি আমাকে বলেন আপনি ডিসি অফিসের সব স্যারদের বলছেন। আপনি সব জায়গায় তদবীর করছেন। কিন্তু কোন তদবীরে কাজ হবে না। প্রতিপক্ষ আমাকে নগদ দুই লাখ টাকা দিয়ে গেছে। কিন্তু আমি আপনার কাছ থেকে ইতিমধ্যে অনেক টাকা ও মাছ খেয়েছি বিধায় আপনার জন্য অপেক্ষা করছি, আপনি ঢাকা এবং খুলনা অফিস মেইনটেইন বাবদ কত টাকা দিতে পারবেন বলেন। তখন আমি বলি ভাই আমি ইতিমধ্যে আপনি যখন যে অবস্থায় টাকা চেয়েছেন তখন ঠিক সেই অবস্থায় আপনাকে আমি টাকা দিয়েছি। এখন আপনি বলেন আপনাকে আর কত টাকা দিতে হবে। তখন তিনি আমাকে বলেন শোনেন আপনাদের খাল পেতে হলে আমাকে ঢাকা এবং খুলনা অফিস মিলে দুই লক্ষ টাকা দিবেন। তা না হলে আপনি কোন নেতা ধরে খাল পাবেন না। তখন আমি উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হলে তিনি আমাকে তার অফিস থেকে বের করে দেন। আমি তখন বলি আমার সকল প্রতিবেদন আমার পক্ষে প্রতিপক্ষরা সঠিক সময় অনাপত্তি সনদ অনলাইনের আবেদনে সংযুক্তি করতে পারে নাই। সার্ভেয়ার রিপোর্ট, সমবায় রিপোর্ট, মৎস্য রিপোর্ট সহ যাবতীয় ডকুমেন্টস আমাদের সমিতির পক্ষে তাহলে আমাদের এতো টাকা লাগবে কেন? উত্তরে তিনি বলেন কোন রিপোর্টেই কাজ হবে না। আমি যে সমিতির পক্ষে রিপোর্ট দিব তার উপর ভিত্তি করে সেই সমিতির অনুকুলে জলমহাল ইজারা পাবে।
সমিতির পরিচালক মো: আবুল বাশার বলেন, জাহাঙ্গীর আলম’র পক্ষপাত মূলক আচারন এবং প্রতিপক্ষের দ্বারা অবৈধ লাভবান হইয়া অসম্পূর্ণ আবেদনে এবং সকল প্রতিবেদন বিপক্ষে থাকা স্বত্তেও মন গড়া ভুল ত্রুটি ধরিয়া অসম্পূর্ণ আবেদনের পক্ষে ইজারা দেওয়ার জন্য হীন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বিধায় মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (সার্টিফিকেট পেশকার)’র বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।