
শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া (খুলনা) : মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের আওতায় সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার ২৫ জন চিংড়ি ক্লাস্টার চাষি নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় সফরে আসেন।
এসময় ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে তাদের স্বাগত জানান ডুমুরিয়া উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগ্যান। এসময় দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
দেবহাটা উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আবুবকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে ২৫ জন ক্লাস্টার চাষি ছাড়াও প্রকল্পের মেরিন ফিশারিজ অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ও দেবহাটা মৎস্য দপ্তরের অন্যান্য কর্মচারী সফরে অংশগ্রহণ করেন।
চাষিরা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য ডুমুরিয়া উপজেলার বড়ডাঙ্গা চিংড়ি চাষি ক্লাস্টার-২ পরিদর্শন করেন। অভিজ্ঞতা বিনিময় সফরে উভয় ক্লাস্টারের চাষীদের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় গলদা চাষি শুভেন্দু বিশ্বাস, জয়প্রকাশ বিশ্বাস, সুজিত মন্ডল, সাব্বির হোসেন রাজু ও সফল ক্লাস্টার লিডার শেখ মাহতাব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
বড়ডাঙ্গা চিংড়ি চাষি ক্লাস্টার-২ এর চাষীরা তাদের ক্লাস্টারের আয়-ব্যয় ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তুলে ধরেন। আলোচনা শেষে, চাষীরা সরেজমিনে চিংড়ির বৃদ্ধি ও উৎপাদন দেখার জন্য চাষির ঘের পরিদর্শন করেন। এসময় ঘেরের মালিক জাল টেনে মাছ দেখান। উপস্থিত সকলে চিংড়ি ও মাছ দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এরপর চাষিরা সেমি ইনটেনসিভ(All male) গলদা প্রজেক্ট পরিদর্শন করেন যার পিএল ফিশটেক সরবরাহ করেন। চাষিরা দেখেন ৮৩ দিনে গলদা ২৫-৩০ গ্রাম ওজন হয়েছে। আধানিবিড় চাষের সকল প্রটোকল মেনে চাষ করা হচ্ছে। চাষিরা সবাই এ পদ্ধতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নিজেরা এই প্রযুক্তিতে চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা জেলা মৎস্য অফিসার জিএম সেলিম, খুলনা জেলার জেলা মৎস্য অফিসার মো: বদরুজ্জামান, মৎস্য অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো: মনজুরুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, বড়ডাঙ্গা মডেল অন্যান্য এলাকায় অনুসরণ করলে চাষিরা উৎপাদন ২-৩ গুণ বাড়াতে পারবেন।
অভিজ্ঞতা বিনিময় সফরের মাধ্যমে চাষীরা অনেক উপকৃত হয়েছেন বলে উপস্থিত চাষিরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে তারা এই প্রযুক্তিতে চিংড়ি চাষে ফিশটেক এর পুরুষ গলদা পিএল মজুদ, আরও ভালোভাবে নার্সারি করা, বায়োসিকিউরিটি, গভীরতা বৃদ্ধি করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন। চাষিরা ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও উদ্যোগ গ্রহন করার জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের নিকট অনুরোধ জানান।