জি,এম,ফিরোজ, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়ার আঠারমাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের(সওজ)’র সরকারি জায়গায় আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর আবারও পরিচালিত হচ্ছে কাঁচামাল আড়তের বাজার। ফলে ব্যস্থতম সড়কটিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনের যানজটের সৃষ্টি হয়ে যাতায়াতে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে যানবাহন ও সর্বসাধারণ।
এর আগে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত এবং সড়কের যানজট লাঘবে মহামান্য হাইকোর্টের এক আদেশে গত ২৭ জানুয়ারি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মোঃ আসাদুর রহমান। এসময় তার সাথে ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ খুলনার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাগর মন্ডলসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।
কিন্তু স্বার্থন্বেষী মহলটি আবারও সেই আদেশ অমান্য করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জায়গায় সড়কের উপর কাঁচামালের আড়ত পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ ওঠে। আঠারমাইল বাজার এলাকায় দীর্ঘ লাইনের যানযটের সৃষ্টি হয়ে যাতায়াতে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে অসংখ্য যানবাহন ও সাধারণ মানুষ।স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে,সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন যাবৎ মহাসড়কের উপর গড়ে ওঠা কাঁচামালের আড়ত পরিচালনা করে আসছিলেন একটি মহল।
খুলনা-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের অঠারমাইল- পাইকগাছা-কয়রার ও সাতক্ষীরা-খুলনার চুকনগর সংযোগ স্থল। ফলে এটি একটি ট্র্যানজিট এলাকা এবং অত্যন্ত ব্যস্থতম স্থান।
জন দুর্ভোগ লাঘবে সড়কের উপর থেকে আড়তটি সরিয়ে নিতে এবং সরকারি জায়গা উন্মুক্ত রাখতে স্থানীয় ব্যবসায়ি কোহিনূর শেখ বাদী হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে ১৩১৩২/২০২৪ নম্বর একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। আদালত জনস্বার্থে
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জায়গা উচ্ছেদ পূর্বক উন্মুক্ত রাখতে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যাবস্থা নিতে আদেশ দেন। তার প্রেক্ষিতে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বসছে মহাসড়েক উপর কাঁচামালের বাজার।এছাড়া বিভিন্ন সময় মালামাল লোড-আনলোড কালে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন যত্রতত্র ভাবে সড়ক জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
এতে ঝুঁকিপুর্ণ ওই স্থানে দুর্ঘটনার চরম শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এবিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: তানিমুল হক জানান,সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার পরেও যদি সড়ক জুড়ে বাজার বসে বা বসানোর চেস্টা করে তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুণরায় নোটিশ জারি করা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।