
শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়ায় বাজারে আলুর দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। গত মঙ্গলবার হিমাগার থেকে প্রতি কেজি আলু ২৬ থেকে ২৭ টাকায় বিক্রি করতে সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাতেও দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। আ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরে। যেখানে অনেকটা উল্টো ডলার বেঁধে ঘটেছে পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ভারত নূন্যতম রপ্তানি মূল্য বাজারে দাম বেঁধে দেওয়ার খবরেই বাজারে হু-হু করে বাড়ছে আগে পণ্যটির দাম। দামে আমদানি করা পেঁয়াজ এখনো দেশের বাজারে এসে পৌঁছায়নি। তবুও এখন কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১৪০ টাকা পর্যন্ত।
গত মঙ্গলবার ১৩০ টাকা এবং গত শনিবার ১০০ টাকার মধ্যে ছিল, বুধবার সকালে ডুমুরিয়া বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। গত শনিবার ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য দেয় ৮০০ টাকা। এরপর তিন দিনের ব্যবধানে খুচরা বেড়েছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে শুক্র ও শনিবার ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, যা পরদিন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা এবং সোমবার ১২০ থেকে ১২৫ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত। আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি উন্মুক্ত করেছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত সোমবারের। চলতি বছরের আলুর বাজার শুরু থেকেই চঙা। এরমধ্যে বেশিভাগ সময় আলুর দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকায় ছিল, যেখানে সাধারণ মানুষ ২০ থেকে ২৫ টাকায় আলু খেতে অভ্যস্ত। তবে শেষ পর্যন্ত কয়েক দফা দাম বেড়ে খুচরা দোকানে আলু ৬০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এছাড়া এরইমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ২৮টি আবেদনের বিপরীতে ১৯ হাজার ৪০০ টন আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এর কোনো প্রভাব নেই আলুর বাজারে, বিক্রি হচ্ছে আগের দামে।