
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : স্বামী, শশুর-শাশুড়ির অবাধ্য এক গৃহবধূ রাতের আধাঁরে বাড়ি ছেড়ে চলে যেয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোরে ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী হাফিজুর রহমান সরদার ডুমুরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী(জিডি) করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের ছলেমান সরদারের ছেলে প্রবাসী হাফিজুর রহমানের সাথে সাতক্ষীরা জেলা সদরের ইটাগাছা এলাকার রবিউল ইসলাম মুকুলের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বীথির ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে উভয় পরিবারের সম্মতিতে ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী বিয়ে হয়। বিয়ের পরও বিথী পড়াশুনা করার সুবাদে বাপের বাড়িতে থাকতো। একপর্যায়ে হাফিজুরের পরিবার বিথীকে প্রায় ২বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরবর্তিতে হাফিজুর জীবন-জীবীকার প্রয়োজনে বিদেশে চাকরিতে যান। সেখানে প্রায় ৪বছর প্রবাস জীবন কাটান তিনি। এ সময় বিথী স্বামীর অবর্তমানে শশুর বাড়িতে অবস্থান কালে স্বামী ও শশুর-শাশুড়ির অবাধ্য হয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা ও জীবন যাপন করতে থাকলে পরিবারের লোকজন তাকে নিষেধ করলেও তাদের কথায় কর্ণপাত না করে বরং উল্টো তাদের কে নানাবিধ হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি দিতে থাকে।
এ বিষয়ে হাফিজুর রহমাম বলেন, গত ঈদুল আজহার সময় দেশে ফিরে বাড়িতে এসে জানতে পারি বিথীর অবাধ্য হয়ে চলাফেরা এবং বেপরোয়া জীবন যাপনের কথা। তাকে নিষেধ করলে সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত সপ্তাহ খানেক আগে ঘরে থাকা মশা তাড়ানোর কেমিক্যাল পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। আমরা তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে সেখানে তার চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হলে বাড়িতে নিয়ে আসি। বুধবার ভোর রাতে বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে কাপড়-চোপড়, সোনা গহনা এবং কিছু নগত টাকা-পয়সা নিয়ে বাড়ি ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেছে। অভিযোগের বিষয়ে বীথির মোবাইল ফোনে কল করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। তাছাড়া আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে আসিনি। রাতে আমার স্বামীকে বলেছিলাম সকালে আমি চলে যাবো।
এ বিষয়ে থানার ডিউটি অফিসার এসআই কামরুল ইসলাম জানান, গৃহবধূ বিথীর বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে থানায় একটি জিডি এন্ট্রি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্যে থানার একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।