ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় নিয়োগ বাণিজ্যের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক মাদরাসা সুপার-কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলার আন্দুলিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের আন্দুলিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শুন্য ৩টি পদে নিয়োগ বাণিজ্যের ২৭ লক্ষ টাকা আত্মসাতের একটি বিষয় জানাজানির পর মাদ্রাসার অভিভাবক, কমিটি ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া-প্রতিবাদ শুরু হয়। তারই প্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর সকল পক্ষের উপস্থিতিতে মাদ্রাসায় একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মাদ্রাসা সুপার ৩টি পদে নিয়োগ বাণিজ্যের ২৪ লক্ষ টাকা নেওয়া ও তা খরচের একটি লিখিত বিবরণ তুলে ধরেন। কিন্তু সেই হিসাবটি মানতে না পেরে গত ২২ সেপ্টেম্বর এলাকার আঃ রব আকুঞ্জী ডুমুরিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তথা মাদ্রাসা কমিটির বর্তমান সভাপতি গত ৩ অক্টোবর ডুমুরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানভীর আহম্মেদ-কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তকারি টিমের প্রধান ২জন সহকারি কর্মকর্তা নিয়ে মাদরাসায় এসে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগটি প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়। তার প্রেক্ষিতে গত ১৪ নভেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিনথর সভাপতিত্বে মাদ্রাসা কমিটির সভায় মাদরাসা সুপার মাওলানা খয়রুল আলম-কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এবং মাদরাসার ভবনের নিমার্ন কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়। কিন্তু ২ সপ্তাহ পার হলেও উপজেলা নিবার্হী অফিসারের সেই পরামর্শ বাস্তবায়িত না হওয়ায় এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে অভিভাবক জিএম হারুনার রশীদ বলেন, আমাদের ইউএনও সাহেব মিটিং-এ বলেছিলেন, টাকা কার কাছে, সেটা দেখছি। তার আগে আপনারা মাদ্রাসা ভবনের ছাদটা সম্পন্ন করে দেন। অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগকারী আঃ রব আকুঞ্জী বলেন, ইউএনও মহোদয় বলেছিলেন, খরচ বাদে যে টাকা আছে তা একাউন্টে জমা করেন। আর ভবনের ছাদটা আগে করেন। কিন্তু সে-কথা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। সকল অভিযোগ প্রসঙ্গে সাময়িক বরখাস্ত সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা খয়রুল আলম বলেন, ওইসব বিষয়ে এলাকাবাসী-কে নিয়ে শিঘ্রই একটা মিটিং হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তথা ওই মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত