এস রফিক, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়ায় ইউএনও'র নির্দেশে মাগুরখালীর পূর্বপাতিবুনে সীমানা খালে অবৈধ ক্রসবাঁধ অপসারণ করে খালটি উন্মুক্ত করে দিয়েছে স্থানীয় জনগণ। এতে বর্ষা মৌসুমে দুটি বিলের পানি নিষ্কাশনে সুফল পাবে ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের পূর্বপাতিবুনে সীমানার খালটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী বিপুল রায়,হিরামন ও জামিনী রঞ্জন বালা ওই খালটির একাধিক স্থানে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। এতে বর্ষা মৌসুমে পূর্ব পাতিবুনে সহ দুটি বিলের পানি নিষ্কাশনে বাঁধার সৃষ্টি হয়। ফলে জলাবদ্ধতার আশংকায় এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর করে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইউএনও মুহাম্মদ আল আমিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে বলেন। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় সহকারী কমিশনার ভূমির নির্দেশে শরাফপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা শেখ শাখাওয়াত হোসেন কে অবৈধ ক্রসবাঁধ অপসারণের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণকে সাথে নিয়ে আলোচিত ওই খালের আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ করে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা শেখ শাখাওয়াত হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা, ইউপি সদস্য গোপাল চন্দ্র হালদার সহ শত শত নারী-পুরুষ।
এদিকে অভিযুক্ত বিপুল রায়ের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিজ নামীয় বন্দোবস্তকৃত জমিসহ অন্যের রেকর্ডীয় জমি হারি নিয়ে মাছ চাষ করি। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, আমি সহ আরও দুই জন খালের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেই মাছ চাষ করছি। তবে আমাদেরকে না জানিয়ে বাঁধ কেটে দেওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত