
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় এক নূরানী ক্যাডেট মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে নানা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে। পরীক্ষার খাতায় শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর গোপন রেখে অভিভাবকদের খুশি করতে রেজাল্টসীটে মনগড়া নম্বর বসিয়ে সেটি বিতরণ করে আসছেন তিনি। বিষয়টি জানাজানির পর প্রতিষ্ঠান প্রধানের শাস্তির দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারস্ত হয়েছেন অভিভাবক বৃন্দ।
দায়েরকৃত অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নে খর্ণিয়া পূর্বপাড়া এলাকায় হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) নামক একটি নূরানী ক্যাডেট মাদ্রাসা গড়ে উঠে ২০২১ সালে। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে মোঃ ইব্রাহিম খলিল ও সহকারী প্রধান রফিকুল ইসলাম শেখ দায়িত্ব পালন করে আসছে। যেখানে মাত্র ৪৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলমান এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বরাবরের ন্যায় এবছরও মনগড়া রেজাল্টসীট বিতরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা ও অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া রেজাল্টসীট সূত্রে জানা যায় ২০২২ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় ১ম শ্রেনীর ছাত্রী তামিমা খাতুন রোল নম্বর ২০ বাংলা পরীক্ষার খাতায় মাত্র ২০ গণিতে ১৯ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু অভিভাবককে খুশি করতে রেজাল্টসীটে বাংলায় ৭৫ ও গণিতে ৭২ নম্বর লেখা হয়েছে। অনুরুপ ভাবে একই শ্রেণীর তানভীর রহমানের পরীক্ষার খাতায় বাংলায় ১০, গণিতে ৩৪ এর স্থানে বাংলায় ৮০ ও গণিতে ৭৫ নম্বর লেখা হয়েছে। প্রত্যেক শ্রেণীর প্রতিটি শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এমন মনগড়া রেজাল্টসীট তৈরি করে অভিভাবকদের খুশি করে আসছে ইব্রাহিম খলিল নামের ওই প্রতিষ্ঠান প্রধান। বিষয়টি জানাজানির পর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে উধাও হয়ে যান তিনি। সম্প্রতি আবারও এলাকায় এসে অভিভাবকদের ভূল বুঝিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেছেন তিনি। এটি শিক্ষা নিয়ে প্রতারণা ও কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভূল বুঝিয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবারও এটি খাড়া করেছেন তিনি। এমনটি দাবি করে অলিয়ার রহমান সবুজ নামের এক অভিভাবক জানান, এলাকায় এসে আমাদের ছেলে মেয়ে ও অভিভাবকদের নিয়ে প্রতারণা শুরু করেছে ইব্রাহিম খলিল নামের ওই ব্যক্তি। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এবং বিষয়টি অবহিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দ্বারস্ত হয়েছি আমরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ইব্রাহিম খলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন সহকারী প্রধান আমির হামজার সহায়তায় এটি করা হয়েছে। কিন্তু কেন এমনটি করা হয়েছে ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে না পেরে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।