শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : খুলনার ডুমুরিয়ায় সুস্বাদু ও মিষ্টি আঙ্গুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক হযরত মাওলানা মুফতি আব্দুল কাইয়ুম জমাদার। মাত্র ৭ মাস আগে লাগানো আঙ্গুর গাছ গুলোতে ফল এসেছে। যা দেখার জন্য এলাকার মানুষ তার আঙ্গুর দেখার জন্য ভিড় করছে। তিনি চাষ করে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের মুফতি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমি মির্জাপুর গ্রামে নতুন বাড়িতে মাত্র ৭ মাস আগে সখের বসতে তার বাড়ীর আঙ্গিনায় আঙ্গুর ফলের চাষ শুরু করি। চারা নিয়ে আসেন ভারত এবং ইতালির ছমছম, সুপার সনিকা, সাধা জাতের ১টি আঙ্গুর চারা। বর্তমানে ১ একটি গাছে ১ থেকে ২ কেজি করে আঙ্গুর ফল ধরেছে। তার ১টি গাছ থেকে থেকে কেজি-কেজির আঙ্গুর আসবে বলে তিন ধারনা করছে। আঙ্গুর গাছে ফল আসার পর পাকতে সময় লাগে ৩/৪ মাস। তিনি তার পাশে বিদেশি কমলা, জামরুল, মালটাসহ বিভিন্ন ফলের গাছ লাগিয়েছেন।
তিনি আগামীতে বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করবেন সামনে নতুন করে আর চাষ করবেন বলে চিন্তা করছেন। তিনি জানান, পাইকারী বাজার থেকে ২শ’ ৫০ টাকা দরে আঙুর কিনে নিয়ে যাচ্ছে ব্যাবসায়ীরা। ইতোমধ্যে তিনি তার বাসায় নিয়ে ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ এস রফিক, সাংবাদিক মহিদুল ইসলাম খান, আরিফুল ইসলাম নয়ন, সোহেল রানা,ও জিন্নাত আলী কে তার নিজস্ব জমির আঙুর দ্বারা আপয়ন করেছেন। আব্দুল কাইয়ুম জমাদার তিনি বলছেন, আমার আঙুর ফল গুলি মিষ্টি ও সুস্বাদুহ হবে। তিনি প্রথমে যখন আঙুর চারা রোপন করে তখন অনেকেই বলতেন এ ফল ভাল হবে না মিষ্টি হবে। বর্তমানে এলাকার অনেক ফল চাষি এবার আঙুর চাষ করবেন বলে চিন্তা করছেন।
ডুমুরিয়য়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, এ উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি বিভিন্ন ফল চাষের জন্য উপযোগী। প্রথম বছরেই তার আঙুর বাগানে ব্যাপক ফলন এসেছে। আঙুর পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় আছি। মিষ্টি ও সুস্বাদু আঙুর এখানে হলে এটা হবে যুগান্তকারী একটি বিষয়। দেশের জন্য কৃষিতে আরো একটি বৈপ্লবিক সাফল্য আসবে। যেসব জেলার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে সেখানে ছড়িয়ে যাবে এই আঙুর চাষ। একদিকে বাইরে থেকে আর আঙুর কিনতে হবে না। অন্যদিকে আমরা আঙুর রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন।
ডুমুরিয়ায় বাড়ীর আঙিনায় আঙ্গুর চাষে সফলতা
Leave a comment