
শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : দীর্ঘ ১৮ বছর পর খুলনা ডুমুরিয়ায় বিএনপির রাজনীতির মঞ্চে ফিরলেন দলটির সাবেক আহবায়ক ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগার লবী।
জানা গেছে, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খুলনায় দোর্দন্ড প্রভাবশালী নেতা ছিলেন আলী আসগার লবী। হাওয়া ভবন ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীকে ২০০১ সালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়। ওই বছর ১ অক্টোবরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া খুলনা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সরকার গঠনের পর বেগম খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দেন। নভেম্বর মাসে উপ-নির্বাচনে আলী আসগার লবী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে তাকে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তার অনুসারীরা। তখন খুলনা মহানগর বিএনপির প্রায় সব শীর্ষ নেতাই লবী বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন।
২০০৭ সালে ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। ওইবছর ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে আলী আজগর লবীকে যৌথবাহিনী গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়। তার সবগুলো ব্যাংক একাউন্ট, স্থাবর-অস্থাবর অনেক সম্পদ এবং কয়েকটি গাড়ি জব্দ করে তৎকালীন সরকার। ২০০৭ সালের জুলাইয়ে একটি মামলায় আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদন্ড দেয়।
২০০৯ সালের প্রথম দিকে তিনি জামিনে বের হন। এরপর থেকে বেশীরভাগ সময় তিনি দেশের বাইরে এবং ঢাকায় ছিলেন।
এদিকে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন আলী আজগর লবী। ওই সময় গণমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ‘অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করছি’। মাঝেমাঝে দু’একবার খুলনায় এলেও দলীয় কোনো কর্মকান্ডে অংশ নেননি।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের খুলনা পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা পর্বের এই খেলা আয়োজনে সাবেক সাংসদ লবীর আর্থিক সহযোগিতা ছিল। টুর্নামেন্ট ঘিরে স্টেডিয়াম এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে তার ছবি সম্বলিত প্লাকার্ড টানানো হয়। এছাড়া তিনি নিজে ওই দিন ঢাকা থেকে এসে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে যান। তখন তাকে নিয়ে আবারও খুলনায় আলোচনা শুরু হয়।
সার্বিক বিষয় নিয়ে আলী আসগার লবী বলেন, আমি সব সময়ই দলের নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নেই। সবার সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবারের সভায় অংশ নেওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমি সেখানে অংশ নিয়েছি। এর বেশিকিছু না।
শনিবার ৫জুলাই দুপুরে ডুমুরিয়া উপজেলা শহীদ জোবায়ের আলী মিলনায়তনে ডুমুরিয়া ফুলতলা এর প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং সাম্যের এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সম্মানিত সাংবাদিকগণের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন আমি খুলনা ২আসনের সাবেক সংসদ ও সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ছিলাম ,সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি ডুমুরিয়ায় কম আসছি। এখন আমি ডুমুরিয়া উপজেলার টোলনা গ্রামের আমার বাপ দাদার বাড়ি
সে আমি একটি বাড়ি করবো। বাড়িতে এসে এলাকার মানুষের সাথে সময় দিব।
আমার ডুমুরিয়া ফুলতলা এলাকার মানুষের সাথে পরিচিত কম। আগামীতে আপনারা আমার সাথে থাকলে আমি খুলনা ৫আসন থেকে বি এন পির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হতে পারবো ইনসাআল্লাহ ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির নেতা গাজী আব্দুল হালিম, খান আফজাল হোসেন, আক্তার হোসেনসহ সাংবাদিক ও নেতৃবৃন্দ।।