
শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এ বছর বোরো ধানের বেশি বীজতলা করতে যাচ্ছেন চাষিরা। বীজতলা তৈরিতে ভালো অগ্রগতিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বোবোর বীজতলা তৈরিতে ৯১ দশমিক ৫ শতাংশ আগেরি হয়েছে। যেখানে গত বছর একই সময়ে আগ্রগতি ছিল ৫২ শতাংশ। এরপরেও জানুয়ারির মাঝামাঝি বীদাতলা তৈরি চলবে সারাদেশে। ফলে এবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছর বোবোর বীদাতলার লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪২ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত বীজতলা হয়েছে ২ লাখ ২১হাজার ৩৫৫ হেক্টরে। গত বছর এ সময় ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার হেক্টরের কিছু বেশি। গত বছর দেশে শেষ পর্যন্ত ২ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর অমিতে বোরোর বীজতলা করা হয়েছিল। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪১ হাফার হেক্টর। অর্থাৎ, বীজতলায় অগ্রগতি ছিল প্রায় ১১২ শতাংশ। এ বছর মমির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বোরোর উৎপাদন বাড়ার আশা চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবয়বের আনন্ন মৌসুমে ৫০ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ২ কোটি ১৭ লাখ টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যেখানে গত মৌসুমে(২০২২-২৩ অর্থবছর) উৎপাদন হয় ২ কোটি ৭ লাখ টন। তবে গত অর্থবছরের উৎপাদন তার আগের বছরের চেয়ে প্রায় দুই লাখ টন কম ছিল। আগের অর্থবছর উৎপাদন হয় ২ কোটি ৯ লাখ টন। এবছর বীজতলা বাড়লে উৎপাদন আরও বাড়বে বলে আশা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে চলতি বছর ৭৫ টনের কাছাকাছি হবে বোরোর উৎপাদন, যা অন্য বছরের চেয়ে বেশি। এবার এখন পর্যন্ত আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূলে রয়েছে। এবার শীত কম, শেষ পর্যন্ত কম হবে, সেটা ধানের ফলনের জন্য ভালো। চাখিরাও কুয়াশা না থাকায় বেশি বেশি বীমাতলা করছেন। ধানের দাম, উন্নত প্রযুক্তি ও বীজ এবং সরকারের বড় প্রণোদনার কারণে কৃষক বোরোর প্রতি আগ্রহী হয়েছে। কার্তিক চন্দ্র বিশ্বান বলেন, ‘আমাদের চাষিরাও দরদ দিয়ে বোরো আবাদ করে। দাম না পাওয়া, সার-বীজ সংকটে তাদের মধ্যে আগে যে অনীহা তৈরি হতো, সেটা একদমই নেই।

