শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অব, মাননীয় নির্বাচন কমিশনার বলেন নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর প্রিজাইডিং অফিসারগণ সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারের সাথে যোগাযোগ করবেন।
এরপর ভোট কেন্দ্রে অবস্থান ও অবস্থ্যা জেনে ও পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। পারলে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্র যে প্রতিষ্ঠান, ভবনগুলিতে স্থাপন করা হয়েছে সে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে যোগাযোগ করবেন।
ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত আসবাবপত্র আছে কিনা, তা প্রিজাইডিং অফিসার নিশ্চিত করবেন। যদি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত আসবাবপত্র না থাকে তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট ক্ষেত্রবিশেষে রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাবেন। এছাড়াও, কেন্দ্রে পানি ও টয়লেট এর সুব্যবস্থা আছে কিনা, তা দেখবেন এবং না থাকলে তা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন।
ভোটগ্রহণের জন্য উপযুক্ত পরিসরের প্রতি খেয়াল রেখে ভোটকেন্দ্রের। যে কক্ষগুলি উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে, সে কক্ষগুলিকে ভোটকক্ষ হিসেবে নির্ধারণ করবেন। ভোটকেন্দ্র সম্পর্কে কোন সমস্যা থাকলে তা রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করবেন।ভোটারদের সুবিধা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের প্রবেশ করার এবং বাহির হওয়ার স্থান নির্ধারণ করবেন। ভোটগ্রহণের দিনে আইন অনুসারে ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির ১০০ গজ এবং ৪০০ গজ ব্যাসার্ধ স্থান চিহ্নিত করতে হবে।
রাতে অবস্থানের জন্য এবং নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ফরম, প্যাকেট, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেপার নিরাপত্তার সাথে সংরক্ষণ করার জন্য উপযুক্ত কক্ষ নির্ধারণ করবেন। উক্ত কক্ষ যাতে সর্বদা নিরাপদ রাখা যায় তার নিশ্চয়তা বিধান করবেন।
এজন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে আলমারী এবং কক্ষের তালাচাবির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করবেন।
ভোটগ্রহণ শেষে ভোটগণনার জন্য উপযুক্ত কক্ষ নির্ধারণ করবেন। নির্ধারিত কক্ষটি যেন এমন প্রশস্ত হয়, যাতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাচনি এজেন্ট, প্রার্থী এবং পোলিং এজেন্টগণের বসার জন্য পর্যাপ্ত পরিসর থাকে।
প্রিজাইডিং অফিসার ও অন্যান্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাগণ নির্বাচনের আগের দিন আসবাবপত্র স্থাপন ও ভোটকক্ষের নকশা প্রস্তুত করে রাখবেন যাতে নির্বাচনের দিন তাঁদেরকে শুধুমাত্র ভোটগ্রহণ সংক্রান্ত উপকরণাদি ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে না হয়।
প্রিজাইডিং অফিসারকে ভোটকেন্দ্রে অপেক্ষমাণ ভোটারের সারি/লাইন নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা নির্বাচনের আগের দিনই গড়ে তুলতে হবে। ভোটকেন্দ্রের ভিতরে প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য আলাদা সারি এবং মহিলা ও পুরুষ ভোটারের জন্য পৃথক পৃথক
ভোটকক্ষ ও আলাদা সারির ব্যবস্থা করতে হবে।
কোন ভোটকক্ষে কোন কোন ভোটার এলাকার ভোটারগণ (ভোটার তালিকায় উল্লিখিত ক্রমিক অনুসারে) ভোটদান করবেন তার একটি বিবরণী ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও ভিতরে প্রকাশ্য স্থানে লাগিয়ে দিবেন।
প্রত্যেক ভোটকক্ষের বাইরে ভোটকক্ষ নং ১/২/৩/৪/৫ (পুরুষ) এবং ভোটকক্ষ নং ১/২/৩/৪/৫ (মহিলা), ভোটারের ক্রমিক নং, ভোটার এলাকার নাম প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে দিবেন।
ভোটকেন্দ্র/কক্ষের ভিতরে ও বাইরে প্রতীক ও স্টিকার (যেমনঃ “প্রবেশ”, “বাহির”, “পুরুষ”, “মহিলা”) এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক উপকরণাদি (যেমন: প্রতীকসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা; নির্বাচন কমিশন বা রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সরবরাহকৃত পোস্টার) প্রদর্শন করতে হবে।
ভোটকক্ষ এমন করে স্থাপন করতে হবে যাতে সেখানে ভোটগ্রহণ চলাকালে ভোটারদের সুশৃঙ্খল ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকে। তবে ভোটকক্ষ স্থাপন কিভাবে করা হবে তা অনেকাংশে নির্ভর করে যে কক্ষটি ভোটকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হবে তার আকার ও আকৃতি, প্রবেশ পথ ও বাহির হওয়ার দরজার অবস্থান, ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় কী কী ধরনের টেবিল, চেয়ার বা বেঞ্চ পাওয়া যাবে তার উপরে।
ভোটগ্রহণের পূর্বের দিনই ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট রিপোর্ট করবেন:
ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভোটকেন্দ্রের ভিতরে অবস্থান করে প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা প্রদান করবেন;
ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত সকল ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনি কাজে ব্যবহৃত সকল মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ ভিত্তিক সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়ানোর ব্যাপারটি নিশ্চিত করবেন।
প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী/আইন বহির্ভূত কাজ করছে এমন কোন ভোটার বা ব্যক্তিকে অপসারণ করবেন। তবে উক্ত ব্যক্তি এ কেন্দ্রের ভোটার হলে তার ভোট প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
নির্বাচন চলাকালীন সময়ে অপ্রত্যাশি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে মোকাবিলা করবেন।
ভোটগণনার সময় গণনা কক্ষের চারপাশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যান্য সদস্যবৃন্দ কেউ ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্বে, ভোটগ্রহণ চলাকালে ও ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনি উপকরণাদির নিরাপত্তা প্রদান করবেন।
নির্বাচনের পূর্বের দিন সহকারী রিটার্নিং/রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি মালামাল পৌঁছানো এক নির্বাচনের শেষে ভোটকেন্দ্র থেকে সহকারী রিটার্নিং/রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় পর্যন্ত নির্বাচনি উপকরণসমূহ পরিবহনে সময় এসকল উপকরণের নিরাপত্তা প্রদান করবেন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনোভাবেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াতে হস্তক্ষেপ বা প্রভাবিত করতে পারবেন না
বুধবার সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান পিপিএম (বার), খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ। ¯^াগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন। মোট ১২৫ জন প্রিজাইর্ডি অফিসার এ মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহন করেন। এদিকে ভোগগ্রহন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, মিডিয়া দর্পন হিসেবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করছে। স্থানীয় সরকারের সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতায় প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানে বর্তমান কমিশন বদ্ধপরিকর। তিনি সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচনের দিন তথ্য সংগ্রহে মোটর সাইকেলের পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।