ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ার খর্ণিয়ায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত আদর্শ কৃষক আবু হানিফ মোড়ল বারো মাস লাল শাক চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এতে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এলাকায়। প্রতি বছর লাল শাক চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে কৃষক আবু হানিফের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার খর্ণিয়া মৌজায় খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে ৪০ শতাংশ জমিতে তিনি লাল শাকের আবাদ করেছেন। ইতোপূর্বে তিনি দুই দফায় চাষাবাদ শেষ করেছেন। বর্তমানে তৃতীয় দফার শেষের দিকে। প্রতি ২২/২৩ দিনের মাথায় উৎপাদিত শাক বিক্রি করে থাকেন এবং প্রতি বারই ওই ৪০ শতাংশ জমিতে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করে থাকেন প্রকার ভেদে আরও বেশি পান। আর এতে তার সার, কীটনাশক, শ্রমিক সহ খরচ হয় মাত্র ১০ হাজার টাকা।সব মিলে লাভ হয় ৩০/৩২ হাজার টাকা। তিনি বলেন,বছরে ১৩-১৪ বার এ লাল শাক চাষ করা যায়। ক্ষেতের পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রতি চার হাত অন্তর অন্তর নালা বা ড্রেন দেওয়া হয় যাতে বর্ষা মৌসুমে জমিতে পানি না জমে। তিনি এ জমিতে পূর্বে ফুল কপি, বেগুন সহ নানা ধরনের সবজি চাষ লাভবান হলেও কম খরচে বেশি লাভ বিধায় লাল শাক চাষে ঝুঁকছেন। তার দেখাদেখি আশ পাশের কৃষকরা দিন দিন লাল শাক চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমি এ চাষ শুরু করি এবং সার্বক্ষণিক তাদের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী চাষ করায় অনেক লাভবান হচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, উপজেলায় মোট ৬/৭ শত হেক্টর জমিতে লাল শাকের আবাদ করা হয়। এরমধ্যে বছরে এক থেকে দুই বার চাষ করে বেশিরভাগ কৃষক।আর কৃষক আবু হানিফ বারো মাসই লাল শাকের আবাদ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। তিনি আরও বলেন, লালশাক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি সবজি বিধায় বাজারে এর চাহিদা সব সময় বেশি থাকে।
ডুমুরিয়ায় লালশাক চাষে তাক লাগিয়েছেন কৃষক আবু হানিফ
Leave a comment