
জি এম ফিরোজ, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়ায় কাছারি বাড়ি আরআরজিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। বিদ্যালয় খোলা হচ্ছে অ্যালার্ম লাইট, ক্যাম্পাসে প্রধান শিক্ষকের আবাসিক থাকার ব্যবস্থা, ফ্রি কম্পিউটার ও ইংরেজী শিক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা, পাঠাগারসহ ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছে নতুন কমিটি। জানা যায়, ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত থুকড়া বাজার সংলগ্ন কাছারী বাড়ী আর.আর.জি.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিশাল খেলার মাঠসহ ৭.৬৭ একর জমি রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। একাডেমিক ভবনসহ ছোট বড় রয়েছে ৪টি ভবন। গাছপালায় ভরা ছায়া নিবিড় সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ কাছারিবাড়ির স্কুলটি। থুকড়া কাছারিবাড়ি, রামকৃষ্ণপুর, রূপরামপুর, গজেন্দ্রপুর, মাধবকাটি ও বিলপাটেলা এলাকার শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয় লেখাপড়া করে। বিদ্যালয় ১৮জন শিক্ষক ও ৫জন কর্মচারী রয়েছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত পাঁচটি শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৮৭ জন। একটা সময় এর চেয়েও বেশি ছিলো। দীর্ঘ ৭০ বছর পর বিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন নিয়ে নতুন চিন্তাধারার পথে হাটছে কর্তৃপক্ষ। এটা বাস্তবায়ন হলে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধিপাবে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। এ বিষয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডাঃ জিএম আলমগীর হোসেন আলম জানান, তিনি সভাপতি’র দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মূলত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রধান শিক্ষকের স্থায়ী থাকার জন্য আবাসিক রুম করে দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল রাখার জন্য একটি গ্যারেজ করা হচ্ছে। এই বিদ্যালয়ের মাঠটি অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহি একটি খেলার মাঠ। যেটা বর্তমানে নিচু হয়ে আছে। এই শুকনো মৌসুমে মাঠে বালু ও মাটি ভরাট করে খেলার উপযোগি করা হবে। স্থানীয় মিকশিমিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের আদলে চমৎকার একটি শহীদ মিনার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হিন্দু-মুসলিমসহ সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে সমাজ ব্যবস্থা কিভাবে উন্নত করা যায় আমরা সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। তাছাড়া ৪তলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন স্থাপনের আবেদন করা হয়েছে। আশাকরি খুব শিগ্রই পেয়ে যাবো। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীরেশ্বর বৈরাগী বলেন, এই কমিটি আসার পর বিদ্যালয়ের অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। স্কুলে পড়ার মান উন্নয়নে আমরা সর্বচ্চো চেষ্টা করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পর পাঠদানে মনোযোগি হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে অভিভাবকদের সাথে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। বিদ্যালয়ে একটি লাইব্রেরী করা হচ্ছে। যেটার কাজ চলমান রয়েছে। লাইব্রেরীর কলেবর বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যে অনেক সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা বই দিয়ে সহযোগিতা করবে।