শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম হত্যা মামলার আসামী আটক নিয়ে শরাফপুর ইউনিয়নে চলছে তোলপাড়। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে বিক্ষুব্ধ জনগণ সাবেক ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে নিকট সোপর্দ করেছেন।জানা যায়, ঈদ উৎসবের কারণে বাজারে লোকজনের উপস্থিতি তুলনামূলক অনেক কম। এ সুযোগে মঙ্গলবার সকাল অনুমান ৮টার দিকে বানিয়াখালী বাজারে মনুর মার্কেটের একটি টিউবওয়েল চুরিকে কেন্দ্র করে শরাফপুরের মোকবুল হোসেন সিকদার (৪৬) নামের এক যুবককে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় লোকজন।
মকবুল মুজাম সিকদারের ছেলে। তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়।এক পর্যায়ে সে চেয়ারম্যান রবি হত্যায় জড়িত কয়েকজনের নাম বলে দেয়।তার স্বীকারোক্তিনুযায়ী এলাকার বিক্ষুব্ধ জনগণ রবি হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর মো: রফিক শেখসহ বানিয়াখালীর শান্ত রহমান শেখ, বৃত্তিভূলবাড়িয়া গ্রামের সাব্বির গাজী ও রহমান ফকিরকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানা জানান, শরাফপুরের পরিস্থিতি কখনো স্বাভাবিক আবার কখনো উত্তাল হয়েছে। দিনভর এমন পরিস্থিতি চলেছে। সকালে প্রথমে মকবুল সিকদার নামে একজন টিউবওয়েল চোর জনতার হাতে আটক হয়। এরপর তাকে বেধড়ক উত্তমমধ্যম দেয় উত্তেজিত জনগণ। একপর্যায়ে সে চেয়ারম্যান রবি হত্যায় জড়িতদের নাম বলে দেয় উত্তেজিত জনগণের কাছে। এরপর প্রায় দিনভর বিক্ষুব্ধ জনগণ মকবুলেরস্বীকারোক্তিনুযায়ী চেয়ারম্যান রবি হত্যায় জড়িত সন্দেহে আসামী ধরতে থাকে। ৫ জন ধৃতদের মধ্যে মোঃ রফিক শেখ এজাহার নামীয় আসামী। আসামীদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্হলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল জোরদার করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।২০২৪ সালের ৬ জুলাই রাত পোনে ১০ টায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে গুটুদিয়া ওয়াপদা ব্রীজের উপর শরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়।
পরদিন ৭ জুলাই নিহত রবির স্ত্রী শায়লা ইরিন বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রবিউল ইসলাম ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালে শরাফপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।