
শেখ মাহাতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়া (খুলনা) চার মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করে কৃষক মাত্র ঘরে তুলতে শুরু করেছেন তরমুজ। একদিকে রোজা অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, কয়রা ও পাইকগাছার তরমুজের চাহিদাও বেশ। সেই চাহিদাকে পুঁজি করে মধ্যস্বত্বভোগীদের পোয়াবারো হলেও কৃষকরা দেখছেন পুঁজি উঠে আসার বিষয়টি। ক্ষেত থেকে তারা একটি তরমুজ বিক্রি করছেন ১৫০-২০০ টাকায়কিন্তু ক্রেতার হাতে সেই তরমুজ যাচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। মধ্যস্বত্বভোগীরা বিপুল পরিমাণ লাভ করলেও কৃষক যা পাচ্ছেন, তাতেই তারা খুশি। তবে অনেক এলাকায় প্রাকৃতি বিপর্যয়ের কারণে কৃষকরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন।
খুলনার কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বছর খুলনায় ১২ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন এর মধ্যে জানা গেছে ডুমুরিয়ায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে ১২হাজার ২শত ৫০কেজি তরমুজ পাওয়া যাবে, ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের কৃষক তরিকুল ও ফরহাদ বলেন, আমরা গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন পেয়েছি। বাজারদর ভালো থাকলে আশা করছি লাভবান হতে পারবো। আরেক কৃষক রাসেল বলেন, এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় গাছে কোনো রোগ বালাই হয়নি। তাই ফলন বেশি পেয়েছি। আশা করছি বাজারদর ভালো থাকবে। শোভনা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিমা মন্ডল বলেন, এই ইউনিয়নে ১৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ করা হয়েছে। আমরা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। আর কৃষকরা খুব যত্ন সহকারে গাছের পরিচর্যা করায় সবাই ভালো ফলন পেয়েছেন। এই ফল চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে দিন-দিন এর চাষ বাড়ছে। দাকোপ উপজেলায়ই চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় একটু কম। বাকি প্রায় ৬ হাজার হেক্টর চাষ হয়েছে বটিয়াঘাটা, কয়রা, পাইকগাছা, তেরখাদা, রূপসা উপজেলায়।
নগরীর কদমতলা মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে অন্য জেলার তরমুজ নেই। গরমে চাহিদা বাড়ায় সবাই তাকিয়ে আছেন দাকোপের তরমুজের দিকে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা অনেকে দাকোপে গিয়ে তরমুজ কিনে আনছেন। আকারে একটু ছোট হলেও দাকোপের তরমুজ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।