শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়্যবোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষকরা। প্রতিবছর খাদ্য ঘাটতি পূরণ ও লাভের আশায় ব্যাপক পরিমাণ জমিতে বোরো ধান চাষ করেন কৃষকরা। বর্তমান ডুমুরিয়া উপজেলায় মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। কৃষকরা স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে তোড়জোড় শুরু করেছেন।
এবার ডুমুরিয়া উপজেলায় অধিকাংশ কৃষি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের আতঙ্কে রয়েছেন কৃষকরা। ঝড়ের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যেতে পারে ক্ষেতের ফসল। তাই ঝড়ের আশঙ্কায় পাকা আধা-পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
আকাশে উত্তর পূর্ব কোণে কালো মেঘ জমতে দেখলেই মুখ যায় শুকিয়ে তাদের। মাঠ থেকে ধান কেটেই দ্রুত নেওয়া হচ্ছে বাড়ির আঙিনায়। সাথে সাথে ধান মাড়াই মেশিন দিয়ে গাছ থেকে ধান ছাটাই করে বস্তা ভর্তি করছেন কৃষকরা।
টিপনা গ্রামের রহিম শেখ জানায়, তিনি লোকের জমি ভাগে নিয়ে পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘা জমি থেকে বিশ বস্তা (৩০ মণ) ধান পাওয়ার আশা করছেন তিনি। প্রতি বস্তায় ধানের পরিমাণ ৬০ কেজি অর্থাৎ দেড় মণ। সেই হিসেবে ৫ বিঘা জমিতে তিনি ১০০বস্তা ধান পাওয়ার আশা করছেন। কৃষক আব্দুল মাজেদ জানান, এবার বোরো চাষে পোকা মাকড়ের উপদ্রব কম থাকায় কীটনাশক ব্যবহার অনেকটা কমে গেছে। তবে তেল, সার, ও কীটনাশক ব্যবহারে খরচ কিছুটা বেড়েছে।
আব্দুল হামিদ ও ইয়াসমিন শেখ বলেন, কৃষকরা বোরো ধানের ন্যায্য বাজার মূল্য পেলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে। ইতোমধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলার বিল শিংগা, জৈইরে বিল, খলশি বিল সদর, ডুমুরিয়া উপজেলার মৎস্য ঘেরাঞ্চলের কৃষি জমিতে রোপন করা বোরো ধান কাটা ও মাড়াই করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, বোরো ধান কাটার মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা নির্বিঘ্নে ধান ঘরে তুলতে পারবেন। এছাড়া সরকার এবার কৃষকদের নিকট থেকে ন্যায্য মূল্যে বোরো ক্রয় করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষকেরা এবার ধানের ন্যায্য মূল্য পাবেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত