
শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় ডুমুরিয়া উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন সম্মেলন কক্ষে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবিতা সরকার, বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অমিত কুমার বিশ্বাস, থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল কবির,সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ নাজমুল হুদা, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দিবাষীশ বিশ্বাস, বন কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাঁসি রাণী, সমবায় কর্মকর্তা সরদার জাহিদুর রহমান,ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার ডিজিএম সঞ্জয় রায়,
চেয়ারম্যান মোল্লা মাহাবুবুর রহমান, শেখ হেলাল উদ্দিন, জহুরুল হক,হুমায়ূন কবির বুলু, মনজিল বালা, সমাবেশ মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান জি এম আমানুল্লাহ,মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুন নবী,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল উপজেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ফহরাদ হোসেন, বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হবি,জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির মাওলানা মুখতার হোসেন,নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, শিক্ষক আইয়ুব হুসাইন,ডুমুরিয়া মহিলা স্মৃতি মহাবিদ্যালয়য়ের সহকারী অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম ঢালী প্রমুখ।
উল্লেখ্য আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে বিভিন্ন স্তরে মোতায়েন করা হচ্ছে।
নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রধান দিকগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোতায়েন ও সময়সীমা
নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে যে, ভোটের আগে ও পরে মিলিয়ে বিভিন্ন বাহিনী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মাঠে থাকবে।
সাধারণ বাহিনী: পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং সশস্ত্র বাহিনী ভোটের ৩ দিন আগে থেকে পরবর্তী ২ দিন পর্যন্ত মোট ৫ দিন মোতায়েন থাকবে।
আনসার বাহিনী: আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুতির সুবিধার্থে মোট ৬ দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
সেনা মোতায়েন: এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্থাৎ প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা সদস্য মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। বাহিনীর স্তর ও দায়িত্ব বণ্টন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
স্ট্যাটিক ফোর্স (Static Force): যারা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করে কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
মোবাইল ফোর্স (Mobile Force): যারা নির্দিষ্ট এলাকায় টহল দেবেন এবং দ্রুত কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।
স্ট্রাইকিং ফোর্স (Striking Force): সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য বিশেষ বাহিনী রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে থাকবে, যারা বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
বিশেষ ক্ষমতা ও আইনি প্রস্তুতি ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে, যা ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে তারা অপরাধীকে সরাসরি গ্রেপ্তার বা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবে।
অস্ত্র উদ্ধার: নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্রের প্রদর্শন বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিহ্নিত অপরাধীদের জামিন না দেওয়ার বিষয়েও মাঠ প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে।
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবার আনসার সদস্যদের অনেককে বডি ক্যামেরা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে CCTV ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। সাইবার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে NTMC (National Telecommunication Monitoring Centre) সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
সতর্কতা: নির্বাচনকালীন সময়ে যেকোনো ধরনের গুজব বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলা এবং পরিচয়পত্র সাথে রাখা জরুরি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত