ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়ায় শোলমারি ১০ভেল্ট স্লূইচ গেটের বাইরে পলি ভরাটে বন্ধ হয়ে পড়েছে পানি নিষ্কাশনের পথ। এতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি জলাবদ্ধতার আশংকায় পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটি বন্ধ হয়ে পড়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি এলাকার মানুষের দুঃখ দূর্দশার কথা ভেবে উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ স্থানীয় জনগনকে সাথে নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে ও স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণের কাজ শুরু করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ যাবত উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ নিজেই পানিতে নেমে ড্রেজিং মেশিন ও স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে আসছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্প্রতি শোলমারি ১০ ভেল্টের স্লূইচ গেটটি পলি ভরাট হয়ে গুটুদিয়া, রংপুর, ডুমুরিয়াসহ ৫টি ইউনিয়নের বৃহত্তর বিল ডাকাতিয়া, বিল রংপুর সহ ১০/১২টি বিলের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। আশু এটি অপসারণ না হলে বিস্ত্তৃর্ণ এলাকা পানি বন্দি হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। সরেজমিনে বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে কথা বলে কৃষকের বিল, ফসল বাঁচাতে গত সপ্তাহ ধরে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিনরাত একটি ড্রেজিং মেশিন ও অর্ধ শতাধিক স্বেচ্ছাশ্রমে আলোর মুখ দেখা দিয়েছে। শুরু হয়েছে পানি নিষ্কাশন। আরও এক সপ্তাহ জনগনকে সাথে নিয়ে শ্রম দেয়া হবে যেন পানি নিষ্কাশনে কোন বাঁধা না থাকে। এ নিয়ে পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শেখ এনামুল ইসলাম, কৃষক সুরঞ্জন মন্ডল, মহসিন আলী, কিশোর কুমার বিশ্বাস সহ অনেকের সাথে। তারা জলাবদ্ধতার আশংকা ও ক্ষতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয় এমপি সহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার ধর্ণা দিই। এমপি মহোদয় বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান স্বশরীরে কাজে অংশ গ্রহণ ও দেখভাল করে আসছেন। আশু পানি নিষ্কাশনে বাঁধা নেই বলে তিনি জানান।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত