
জি,এম,ফিরোজ, ডুমুরিয়া : খুলনা মহানগলীর কোলঘেষা উপজেলা ডুমুরিয়া। এই উপজেলার খুব গুরুত্বপূর্ন তহশিল অফিস উপজেলা রঘুনাথপুর ইউনিয়নের থুকড়া বাজারে অবস্থিত । ভূমি অফিসটিতে নগর সংলগ্ন জমি এবং প্লট ব্যবসায়ীদের লোভনীয় স্থান। আর এ কারণেই এখানে ভূমি সংক্রান্ত কাজ করাতে এক শ্রেণির দালালের আর্ভিভাব হয়। সাধারণ সেবাগ্রহিতারা তাদের সেবা নিজে পেতে ব্যর্থ হয়। এ রকম পরিস্থিতিতে গত ২৪ জুলাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন যোগদান করেন। তিনি যোগদান করার পর সাধারণ মানুষের সেব গ্রহণ সহজ হয়। আর এতেই ক্ষেপে যায় দালাল চক্র।
স্থানীয় ও ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিভাগীয় শহর খুলনা সংলগ্ন কযেকটি মৌজা রয়েছে এই অফিসের আওতায়। যেখানে বে-আইনীভাবে গড়ে উঠেছে শতাধিক আবাসন ব্যবস্থা। প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসব আবাসন ব্যবসায়ীরা তাদের আবাসন ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ কার্যতঃ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না। তারা কোন রকমে এ বিঘা জমি কিনে সেখানে কয়েকটি প্লট করে বিক্রি করে । আর জমি বিক্রি হলে সেটির নামজারী করতে হয়। সেক্ষেত্রে অনেক সমস্যা থেকে যায়। আর এ সুযোগে আর্বিভাব ঘটে দালাল চক্রের। তারা বিভিন্ন পন্থায় ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে তাদের কাজ উদ্ধার করে নিত।
থুকড়া ভূমি অভিসে দালাল চক্রেওর দৌরাত্ব দুর করতে বতমান ভূমি সহকারি কমকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ভূমি অফিস সংলগ্ন একটি কম্পিউটার দোকান বন্ধ করে দেন। ওই দোকানের মালিক ভূমি অফিসের পাসওর্য়াড চুরি করে ফাইল আপলোড দিত। এছাড়া যারা নামজারির আবেদন করতে অবসত তাদেরকে বাধ্য করত তার মাধ্যমে নামজারীর চুক্তি করতে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা ভূমি অফিসের কমকতা দোকানটি বন্ধ করে দেন।
এরপর দালাল চক্র বেপরোয়া হযে ওঠে। তারা বতমান কমকর্তাকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থাণীয় অধিবাসী বিএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আগের নায়েব ( সহকারি ভূমি কমকতা) ঘুষ ছাড়া কাজ করতেন না। কিন্তু বতমানে অফিসে ঘুষের কোন লেনদেন নেই।
ইউপি সদস্য মোঃ রিপন হোসেন বলেন, ঘুষ দুনীতির আকড়া ও দালাল চক্র থেকে থুকড়া ভূমি অফিসে এখন ঘুষ ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষযে থুকড়া তহশিল অফিসের সহকারি ভূীম অফিসার ( নাযেব) নিলুফা ইয়াসমিন বলেন ভূমি সেবা গ্রহিতা যাতে সহজে সেবা পায় সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আমি বলৈ দিযেছি যার জমি তাকে বা তার কোন স্বজনকে আসতে হবে নামজারি করতে। কোন চিহ্নিত মধ্যস্থতাকারির স্বরনাপন্ন হওয়া যাবে না।

