জন্মভূমি ডেস্ক : চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গড়ে ৭৫ জন মারা গেছেন। আর মোট মৃত্যুর শতকরা ৯০ ভাগই হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে (৭২ ঘণ্টা) মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এডিস মশার বর্ষাকালীন জরিপ পরিচালনাকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এই কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরে ডেঙ্গুতে যত রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন, তার ৯০ শতাংশই হাসপাতালে আসার তিন দিনের মধ্যে মারা গেছেন। জ্বর হলে তো চারদিন-পাঁচদিন পর রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ার কথা। তাহলে তিন দিনের মাথায় মৃত্যুর মানে- তার এই রোগের শুরু আরও আগে। প্রথমে সে চিকিৎসকের কাছে যায়নি। যখন এসেছে, তার অবস্থা ইতোমধ্যেই খারাপ হয়ে গেছে।
সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজের সুরক্ষার জন্য সচেতন থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই জ্বরকে অবহেলা করা যাবে না। মশা যেন না কমড়ায়, বাসায় যেন এডিসের প্রজনন না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
গত ১০ দিন ধরে রাজধানীতে এডিস মশার বর্ষাকালীন জরিপ করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই জরিপের অংশ হিসেবে গুলশান-বনানীর বিভিন্ন বাসাবাড়িতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনা পরীক্ষা করে মিলছে এডিস মশার লার্ভা।
সবশেষ শুক্রবার রাজধানীর গুলশান-১ এর একটি বহুতল ভবনের গ্যারেজে এডিসের লার্ভাবিরোধী অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। অভিযানে ভবনটির গ্যারেজে বোতল ও গাড়ির টায়ার পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানেও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
সবমিলিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রথম আট দিনে সংগৃহীত নমুনায় শতকরা ৫০ ভাগ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কীটতাত্ত্বিক তদারকি বিশেষজ্ঞ তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযান পরিচালনার সময় ছোট ছোট কনটেইনারগুলোতে বেশি এডিসের লার্ভা পেয়েছি। আট দিনে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাসায় এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত