জন্মভূমি ডেস্ক : বহুল প্রতীক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন তারা।
আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন এই এক্সপ্রেসওয়ে। আগামীকাল রোববার থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে এটি।
বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট, ক্যাপ, ফেস্টুন ব্যান্যার নিয়ে তারা যোগ দেন। বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আনন্দ করতেও দেখা যায় অনেককে।
ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে আসা শাহ আলম মিয়া বলেন, আমি কেরাণীগঞ্জ থেকে আসছি সরকারের এ মেগাপ্রজেক্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। উন্নয়নের সাক্ষী হতে পেরে আমার কাছে ভালো লাগছে।
উত্তরার বাসিন্দা ইউসুফ আলী বলেন, সারা দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সারা দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। আর আমার ইচ্ছা সবগুলো মেগাপ্রজেক্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি থাকব, তাই এসেছি। এর আগে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল উদ্বোধনীতেও ছিলাম।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরের দিন বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার। বোর্ডিংয়ের জন্য ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীতে দুটি র্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। থ্রি হুইলার, সাইকেল ও পথচারীদের এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। মোটরবাইক এখনই চলতে পারবে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে যানবাহনের সময় লাগবে ১০ মিনিট।
সাড়ে ১১ কিলোমিটার মেইনলাইন এবং ১১ কিলোমিটার র্যাম্পসহ, অংশটির দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ২২ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে এই অংশের ১৫টির মধ্যে ১৩টি র্যাম্প খোলা হবে। বনানী ও মহাখালীর র্যাম্প নির্মাণ শেষ হলেই খুলে দেওয়া হবে।