
নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনায় “গুজব প্রতিরোধ ও তথ্য যাচাইয়ে ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের গুরুত্ব” বিষয়ক দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র প্রদান ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (স্যাকমিড) এর উদ্যোগে আজ ১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রশিক্ষণটি বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে পরিচালিত “ডিজিটাল হুমকি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়ে গণমাধ্যমকর্মী, ছাত্রী ও সংখ্যালঘু নারীদের ক্ষমতায়ন” প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত হয়েছে এবং এই প্রকল্প বাস্তবায়নে খুলনার স্থানীয় এনজিও পার্টনার হিসেবে কাজ করছে কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী খুলনার বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মতবিনিময় সভায় তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেন। তিনি জানান, “যদি মানুষের মধ্যে নিজ থেকে কিছু করার তাগিদ না জাগে, তবে শেখার আগ্রহও জন্মায় না। গুজব একটি ঝড়ের মতো এটি এমন এক ঝড়, যা সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এই ঝড় প্রতিহত করতে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। নবীন ফ্যাক্ট-চেকাররাই হতে পারেন সেই পরিবর্তনের দূত, যারা ভবিষ্যতে গুজব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।”
শিক্ষার্থীরা জানান, কর্মশালায় অংশ নিয়ে তারা বিভিন্ন ডিজিটাল টুলের মাধ্যমে কীভাবে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য শনাক্ত ও যাচাই করতে হয়, তা শেখার সুযোগ পেয়েছেন। তারা প্রস্তাব করেন, একটি নির্ভরযোগ্য ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা হলে, তারা সেখানে যাচাইকৃত তথ্য নিয়মিতভাবে সংরক্ষণ বা শেয়ার করতে পারবেন। তাদের বিশ্বাস, এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে গুজব প্রতিরোধ এবং মিথ্যা তথ্য মোকাবিলায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার মোঃ আলীমুজ্জামান খান এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (স্যাকমিড) এর কর্মকর্তা ও কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা বেগম।
এই সভা ছিল স্যাকমিডের “ডিজিটাল হুমকি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মী, ছাত্রী ও কমিউনিটি নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি” প্রকল্পের অংশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণী ও নারীদের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষা, তথ্য যাচাই ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করা হচ্ছে।