জন্মভূমি ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানের আকাশে ৩০টিরও বেশি সামরিক বিমান শনাক্ত করেছে দ্বীপদেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি তাইওয়ানে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটাই চীনের সবচেয়ে বড় শক্তি প্রদর্শনের মহড়া। খবর এএফপির।
চীন তাইওয়ানকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে এবং স্বশাসিত দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখার জন্য শক্তি প্রয়োগ করা হবে না, এমন ঘোষণা কখনোই দেয়নি।
গত ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত তাইওয়ানের জাতীয় নির্বাচনের আগে থেকেই বেইজিং হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী লাই চিং তে একজন বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী। তবে নির্বাচনে লাই চিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি তৃতীয় মেয়াদে জয়লাভ করে। দলটি দীর্ঘদিন থেকেই চীনের ভূখণ্ডের দাবিকে অগ্রাহ্য করে আসছে।
এদিকে আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা দেশটির চারপাশে ৩৩টি চীনা সামরিক বিমান ও নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি জাহাজের চলাচলের বিষয়টি শনাক্ত করতে পেরেছে। এরমধ্যে ১৩টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া স্পর্শকাতর তাইওয়ান প্রণালীতে দুটি চীনা বেলুনও শনাক্ত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ ঘটনার পাল্টা জবাব হিসেবে আকাশে টহল বিমানের পাশাপাশি নৌবাহিনীর জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে এবং উপকূলীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে সচল রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি দুজন মার্কিন আইনপ্রণেতার তাইওয়ান সফরের পরপরই শক্তি প্রদর্শনের এ মহড়া করছে চীন। সফরের ওই আইনপ্রণেতারা তাইওয়ানের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাও বিখিমের সঙ্গে দেখা করেন। তবে বেইজিং এই দুজনকে ‘স্বাধীনতাবাদী জোড়া’ হিসেবে সমালোচনা করেছে। প্রেসিডেন্ট লাই চিং অবশ্য নিজেকে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বাস্তববাদী কর্মী হিসেবে দাবি করে আসছেন।
এই নির্বাচনের দুদিন পরেই প্রশান্ত মহাসগরীয় দেশ নাউরু তাইওয়ানের পরিবর্তে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার ঘোষণা দেয়। এতে তাইওয়ানের মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে।