মোঃ এজাজ আলী : খুলনাঞ্চলসহ সারাদেশে টানা মৃদু থেকে মাঝারী তাপপ্রবাহে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। রোজায় দীর্ঘসময় পানি না খাওয়া অবস্থায় প্রচুর ঘাম বের হলে শরীরে পারিশূণ্যতা তৈরি হতে পারে। হতে পারে হিট স্ট্রোক। এ অবস্থায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে সব বয়সের মানুষকে। রোজাদার ব্যক্তিরা রোজা রেখে বাইরে যাচ্ছেন। তীব্র গরমে বেশি ঘাম হলে শরীরে পানিশূণ্যতা দেখা দিতে পারে । আবার যারা রোজা রাখছেন না, তারা বাইরের খোলা খাবার, শরবত, ঠান্ডা পানি খেয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এই তাপপ্রবাহের ফলে সৃষ্ট তীব্র গরমে মানুষের শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের হৃৎপিন্ড ও নাড়ির গতি বেড়ে যায়। এ থেকে মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে। অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এই অবস্থাকে বলা হয়, হিট স্ট্রোক। এ পরিস্থিতির শিকার হলে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে দ্রƒত ছায়াময় স্থানে নিয়ে যেতে হবে। সম্ভব হলে শীতলতম স্তানে নিয়ে যেতে হবে। শরীরের কাপড় ঢিলে করে দিতে হবে। চোখে মুখে পানি দিতে হবে। তিনি এ পরিস্থিতিতে শারীরিক সুস্থ্যতা বজায় রাখতে। বাইরের খাবার শরবত, পানি, বরফ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। এ সময় বাইরে যাওয়ার সময় ঘর থেকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সাথে রাখার ও পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমে কিছু ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মামস, জলবসন্ত, ডায়রিয়ায় আক্রান্তের হার বেড়ে যায়। বয়স্ক, শিশু এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন- গর্ভবতীদের মধ্যে এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ইতোমধ্যে দেশে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে ডা. লেলিন এ সময় বয়স্ক, শিশু ও গর্ভবতীদের বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। জরুরী প্রয়োজনে বাইরে গেলে সূতি কাপড় পড়া, বাসার খাবার ও পানি সাথে রাখারও পরামর্শ দেন।