
তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে আগাম ইরি-বোরো ধান চাষে নেমে পড়েছেন কৃষক। তারা এখন বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার হাট-বাজারে ব্রি-২৮ ও ব্রি-৮৮ রডমিনিকেট, শুভলতা, এসএলএইড ছাড়াও হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে। বীজ ডিলারসহ সার ও কীটনাশক ডিলারের দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে। দোকানগুলিতে বেড়েছে কৃষকদের উন্নত ফলনশীল জাতের বোরো ধানের বীজ কেনার হিড়িক। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত বোরো ধানের ২৭টি জাতের মধ্যে কৃষকরা সববীজ গ্রহণ করছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তালার খলিষখালী, ইসলামকাটী, তেঁতুলিয়া, শাঁকদহ, মিঠাবাড়ী, ধানদিয়া, নগরঘাটা, কুমিরাসহ অধিকাংশ বিলে মাছ চাষ হয়। ফলে সেখানে আমন ধানের পরিবর্তে বোরো ধানই কৃষরে একমাত্র ভরসা। বোরো ধান চাষ করে একদিকে নিজেদের চালের চাহিদা মেটান, অপরদিকে মাছ চাষে লোকসান থাকলে তা পুষিয়ে নেন। চাষিরা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলা তৈরিতে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি অথবা জানুয়ারির শুরুতেই জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হবে বলে আশা করছেন কৃষক। এছাড়া ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম আসার আগেই যেন বোরো ধান কেটে বাড়িতে তোলা যায় এজন্য কৃষকরা আগাম বীজতলা তৈরি করছেন। চরগ্রামের গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, চার বিঘা জমিতে বোরো চাষের লক্ষে তিনি আগাম বীজতলা তৈরী করছেন। আগাম বীজতলা তৈরী করে আগাম চারা রোপন করলে আগাম ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হবে। আরেক কৃষক আব্দুর রহমান জানান এ বছর ব্রি-২৮ শুভলতা ও হাইব্রিড চাষে ঝুকছেন চাষীরা। তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, এবছর উপজেলার চাষীরা বোরো চাষের জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে বীজতলা তৈরীতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। আমারা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ হবে।

