গাজী জাহিদুর রহমান, তালা : তালায় চলতি বছর কুলচাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবার কাঙ্খিত ফলন হওয়ায় কৃষকের লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। কুলের দাম বেশি পাওয়াতে কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তালা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুরোদমে চলছে কুল বিক্রি। গাছগুলোতে ভালো ফলনও হয়েছে। এ অঞ্চলে নারকেল কুল, বলসুন্দরী, আপেল কুলের ভেতর হাইব্রিড থাই কুল জাতের কুল আকারে বেশ বড় হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই কুল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে। এলাকার বেশ কয়েকজন কুলচাষী জানায়, এ বছর কুলের ফলন ও দাম দুটোই বেশ ভালো।
উপজেলার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের পলাশ বিশ্বাস জানান, তিনি চলতি বছর পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ-এর সহযোগিতায় ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় ৭ বিঘা জমিতে টক মিষ্টি কুল চাষ করেছেন। এতে ভাল ফলনের পাশাপাশি বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বরই তিনি বিক্রি করেছেন বলে জানান।
উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষি কর্মকর্তা নয়ন হোসেন জানান, সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে সর্ব প্রথম পলাশ বিশ্বাসের বাগানে আগাম টক মিষ্টি জাতের বরই উৎপাদন করা হয়েছে। বাগানে ৪০০টির মতো গাছ আছে। ফল আহরণ শুরু হয়েছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ টন বরই ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ অঞ্চলে আপেল কুল, থাই আপেল, কাশ্মেরী আপেল, বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী ও সিডলেস জাতের কুলের গাছ আছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে জুজখোলা গ্রামের জামাল উদ্দীন ৩বিঘা জমিতে বলসুন্দরী, আপেল ও থাই কুল চাষ করেছেন। প্রতিটি গাছে ৩/৪ মণের বেশি কুল ধরেছে। ১০০ তেকে ১২০ টাকা কেজি দর থেকে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। বর্তমানে বাজার বেশ ভাল। সামান্য পানি সেচ, আগাছা পরিষ্কার, ডালপালা ছাটাইকরণসহ অল্প কীটনাশক সার ঔষধ দিলেই এর পরিচর্যা সমাপ্ত হয়।
তালা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ কুমার পাল জানান, কুলচাষ এ অঞ্চলের মানুষের অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন করে দিয়েছে। এবছর কুল চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছে।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, এ বছর ৮০৪ হেক্টর জমিতে কুলের চাষ করা হয়েছে। কুলের দাম বেশি পাওয়াতে কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
তালায় কুলচাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক

Leave a comment