জন্মভূমি ডেস্ক : সাতক্ষীরার তালায় প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় চাষকৃত ক্ষেতে ভরে গেছে হলুদ, কালো ও সবুজ তরমুজে। আশানুরূপ ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। একই সঙ্গে বেশ লাভেরও আশা করছেন তারা।
তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও ভায়ড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকের ক্ষেতে মাচায় ঝুলছে শত শত সুদৃশ্য তরমুজ। টুঙ্কিনারী, বুলেট কিং ও কানিয়া (বাংলালিংক) জাতের এসব তরমুজের কোনোটি বাজারজাতের সময় হয়েছে, কোনোটি এখনো জালি। খেতেও সুস্বাদু।
তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক মোঃ ইকবল হোসেন জানান, ‘আমি প্রথমবারের মতো ৫৫ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছি। এজন্য মে মাসের শেষ সপ্তাহে বীজ রোপণ করি। বর্তমানে ক্ষেত তরমুজে ভরে গেছে। চলতি সপ্তাহ থেকে তরমুজ বিক্রি শুরু করেছি।’
ভায়ড়া গ্রামের আরেক কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিনিও প্রথমবারের মতো ২০ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছি। ইতোমধ্যে ক্ষেত তরমুজে ভরে গেছে। চলতি সপ্তাহ থেকে তরমুজ বিক্রি শুরু করেছি। এতে বেশ লাভবান হবো বলে আশা করছি।’
এ প্রসঙ্গে উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষিবিদ নয়ন হোসেন বলেন, পিকেএসএফের অর্থায়নে উন্নয়ন প্রচেষ্টার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষি খাতের আওতায় স্থানীয় কৃষকদের উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। তেঁতুলিয়া, ভায়ড়া ছাড়াও নগরঘাটা গ্রামের ৩ জন কৃষক আড়াই বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছে। সকলেই উল্লেখযোগ্য সফলতা পেয়েছেন। মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের প্রযুক্তি অত্রএলাকায় আরও সম্প্রসারিত হবে বলে জানান তিনি।
তালা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আফরোজা আক্তার রুমা বলেন, তালার তেঁতুলিয়া, ভায়ড়া ও নগরঘাটা গ্রামে প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রচেষ্টা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে। ইতিমধ্যে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদ্স করছে। সরকারের কৃষি বিভাগও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের এই প্রযুক্তি আগামীতে আরও সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত