তালায় চলাচলের পথ আটকিয়ে গৃহবন্দী করে রাখায় সাংবাদ সম্মেলন!

তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুজনশাহা গ্রামে চলাচলের পথ আটকিয়ে পাঁকাঘর নির্মাণ ও একটি পরিবারকে গৃহবন্দী করে রাখার প্রতিবাদে তালা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী মোঃ নুরুল ইসলাম শেখ। তিনি সুজনশাহা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে। শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে নুরুল ইসলাম বলেন, সুজনশাহা মৌজার এস এ খতিয়ানের ১৯৫ দাগের ৩৭ শতাংশ জমির মধ্য হতে পৈত্রিক সূত্রে ৯.২৫ শতাংশ প্রাপ্ত হই। যা পরবর্তীতে ৩২৪ ও ৪৩২ দাগে রেকর্ড হয়। এই ৩৭ শতাংশ জমির মধ্যে আমরা ৪টি পরিবার বসবাস করি। পূর্ব থেকে ভাগবাটোয়ারা না করে আমরা নিজেদের সুবিধামতো বসতবাড়ি তৈরী করি। সকলের যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটি ঘরোয়া রাস্তা রাখা হয়। বিগত সরকারের আমলে শরিকরা গায়ের জোরে সেই যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে পাঁকা বাড়িঘর তৈরী করলে আমার যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে বিগত প্রায় ১৪ মাস যাবত আমরা ৪ টি পরিবার সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ি। উপয়ান্ত না পেয়ে অন্য এক প্রতিবেশীর সাথে আপোষ বন্টন নামা করি এবং রাস্তা তৈরীর জন্য ২ শতক জমি ক্রয় করি। এর পরেও দূর্ণীতির দায়ে পুলিশের চাকরী হারানো রায়হান শেখ আপোষ বন্টন নামা অস্বীকার করে। সে আওয়ামীলীগের ক্ষমতার দাপটে আমার জমি দখল করে পাঁকা ঘর নির্মাণ করে। এই জমির মধ্যে তার একটি অব্যবহৃত ল্যাট্রিন ও আধাপাঁকা রান্না ঘর আছে। আমার জমি উদ্ধারের জন্য কয়েকবার গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিসী বৈঠক হয়। সে কাহারো কথা মানতে চায় না। জায়গা ছাড়তে সে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা চায়। তিনি বলেন, সর্বশেষ ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এই সকল স্থাপনা সরানোর জন্য আমাকে খরচ বহণ করার কথা বললে আমি মেনে নিলেও সে মানেনি। সে আরও বেশী টাকা চায়। এমনকি বাড়ির দক্ষিণ সীমানায় আমার জায়গা দখল করে পাঁকা ইমারাত গড়ে তুলেছে। এই সন্ত্রাসীর ভয়ে সে জায়গাও উদ্ধার করতে পারছি না। নুরুল ইসলাম আরও বলেন, বাড়ি হতে বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় আমাদের চারটি পরিবারের ১৯ জন সদস্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। আমার নাতিপুতিরা লেখাপড়া করার জন্য স্কুলে যাওয়া আসা করতে পারে না। নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে অন্যের ঘরের পিছন দিয়ে সমজিদে যেতেও কষ্ট করে ঘুরে যেতে হয়। আমার বাড়িতে একটি ভ্যানগাড়ি যাওয়ারও জায়গা নেই। বাড়িতে যে কোনো জিনিষপত্র নিতে হলে ছোট ছোট পাত্রে করে অন্যের উঠান দিয়ে যেতে হয়। এমত অবস্থায় প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি।