
তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলায় যুব-নেতৃত্বে দুর্যোগে জরুরী পরিস্থিতিতে নারী-বান্ধব আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় যুব-নেতৃত্বে দুর্যোগে জরুরী পরিস্থিতিতে নারী-বান্ধব আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আশুতোষ কুমার বিশ্বাস, ধানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম, তালা থানার এএসআই (নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ডেক্স) কাজল আক্তার, নগরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শিব প্রসাদ মন্ডল, ভুমিজ ফাউন্ডেশন সমন্বয়কারী, অচিন্ত্য সাহা, রুপালী পরিচালক শফিকুল ইসলাম, মুক্তি ফাউন্ডেশনের সুনন্দা ভদ্র, বঙ্গবন্ধু পেশা ভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আতাউর রহমান, ধানদিয়া কাটাখালী আইডিয়াল দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মোসলেম আলী, গ্রীন ম্যানের মুশফিকুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক গাজী জাহিদুর রহমান ও সংবাদের জুলফিকার রহমানসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ ও যুব সদস্যবৃন্দ। প্রকল্পের কার্যক্রম ও প্রোগ্রামের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও কর্মসূচির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ)। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ম্যানের মুশফিকুর রহমান, কপোতাক্ষ যুব সংঘের সদস্য ফিরোজা খাতুন, আশার আলো যুব সংঘের চয়ন কুমার দাশ ও ঐক্য যুব সংঘের আমির হামজা, ইন্সপেরিটর একশনএইড বাংলাদেশ সুমন আচার্য্য, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ফাইন্যান্স অফিসার চন্দর কুমার বৈদ্য, ইয়ূথ ফেলো লিপি চৌধুরী প্রমুখ।
এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগের সময় ব্যবহৃত আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে প্রতিবেদনর প্রেক্ষিতে চাহিদা প্রস্তাবনা করা। প্রাপ্ত চাহিদার ভিত্তিতে আশ্রয় ব্যবস্থাপনাকে কিভাবে আর ও নারী-বান্ধব করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশ^াস গ্রহন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিতে তরুণদের অর্ন্তভুক্ত করা। নিচের খাতগুলো বরাদ্দের জন্য ইয়ূথরা প্রস্তাবনা প্রদান করেন। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র/সাইক্লোন শেল্টারটি নারী বান্ধব করা। ব্রেষ্ট ফিডিং/মাতৃদুদ্ধ কর্নারের ব্যবস্থা করা ও গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা সেবার জন্য নারী ডাক্তার নিশ্চিত করা। সাইক্লোন শেল্টার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে আর ও সক্রিয় হওয়া । শেল্টার ব্যবস্থাপনা কমিটিতে স্থানীয় যুবদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ তৈরী করা। শেল্টার ব্যবস্থাপনা কমিটি (এস এম সি) সদস্যদের দুর্যোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।