তালা প্রতিনিধি : সারা দেশের ন্যায় তালা উপজেলায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা। এর আগে রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে মন্ডপে মন্ডপে শুরু হয় সিঁদুর খেলা। এরপর আরতি, শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় দুর্গতিনাশিনী দেবীকে। এদিকে, বিসর্জন উৎসবমুখর ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। হিন্দুধর্ম মতে, মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ ধরায় আসেন দশভুজা দেবী দুর্গা, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তাকে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয়। এ উপলক্ষে তালা মেলঅ বাজার ও পাটকেলঘাটার কালিবাড়ি চত্বরে এক মিলন মেলায় মিলিত হয় হিন্দু ধর্মালম্বীরা। এলাকার সকল প্রতিমা একই স্থানে জড়ো হলে সন্ধ্যার সাথে সাথেই বিসর্জন দেওয়া হয় কপোতাক্ষ নদীতে। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুকা¬পক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব। এ সময় ভক্তরা নদীর দুধার দিয়ে উৎসবে মেতে ওঠে। রাস্তার দুধারে বসে বিভিন্ন রকম মিষ্টি ও ভাজার দোকান। এছাড়া মাটির তৈরী হাড়ি, কলস, লক্ষীঘটসহ বিভিন্ন রকম মাটির তৈরী জিনিসপত্রের হাট বসে। এদিকে বিজয়ী দশমীকে ঘিরে তালার মেলা বাজার বসেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী মেলা। মেলায় বাহারি মিষ্টি, মাটির খেলনা, আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সরঞ্জাম, গহনাসহ বাহারি পণ্যের দোকান, মিষ্টি পান, জিলাপি, মজাদার চানাচুর আর স্বাদের বাহারী পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। ভিড়ও জমেছে হাজারো সনাতন ধর্মীয় ভক্তদের। তালা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দুর্গাপুজার পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম পিপিএম ও পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মাদ হাফিজুর রহমান জানান, প্রতিমা বিসর্জন নির্বিঘ্নে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।