
তালা প্রতিনিধি : এক সময়ের আলোচিত সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামি ভূমিদস্যু খলিলুর রহমানের নামে নতুন করে ঘের দখলের অভিযোগে মামলা হয়েছে আদালতে। মামলাটি সিআইডিতে তদন্তনাধীন রয়েছে। খলিলুর রহমান তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের টিকারামপুর গ্রামের মৃত ফকরউদ্দীনের ছেলে। উপজেলার কুমিরা গ্রামের জনৈক আসাদ মীর বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। খলিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নানান অভিযোগের পর ১ মেয়ে খলিষখালী বাজারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারদিন হাসান দীপকে হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নতুন করে।
স্থানীয়রা জানায়, ছোটবেলা থেকে বেপরয়া চলাফেরা করত খলিল। এরপর থেকে রাজনীতিতে যোগদান করে আরো বেপরয়া হয়ে ওঠে।ওই সময় সে জড়িয়ে পড়ে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনায়। তার নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। একসকল অপরাধের জন্য কয়েকবার জেলে যেতে হয়েছে তাকে। কয়েকবছর আগে সে এলাকার বিএনপি নেতাদের শেল্টারে এলাকার বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে জমি দখল করে তাদের ভারতে যেতে বাধ্য করেছে। ২০২০ সালে টিকারামপুর গ্রামের কামাল নামে এক যুবককে বিষাক্ত মদ পান করিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটি তখন সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপাও দেয়। এরপর থেকে এলাকায় যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে কয়েক একর জমি দখল করে ঘের দখল করে নেয়। একসময় যে দরিদ্ররসীমার নিচ বসবাস করত সে এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। বছর দুই আগে ইউপি নির্বাচনে নৌকা সমর্থিত প্রার্থী মোজাফ্ফর রহমানকে নির্বাচনের মাঠে হামলা করে। ওই সময় রনজিত নামে এক সংখ্যালঘু আওয়ামী লীগ নেতাকে মারপিট করে। এরপর সে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাবীর হোসেন ও সংসদের ছত্রছায়ায় থেকে অপকর্ম করে বেড়ায়।
এক ইউপি সদস্য বলেন, খলিল যুবলীগ নেতা হওয়ার পর থেকে বেপরয়া চলাফেরা করে। কিছুদিন আগে সে যুবলীগ নেতা হয়ে খাল দখল ঘের দখল সহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি সময় সে সরকারি রাস্তা কেটে নিজের ঘেরে পানি তুলে নিচ্ছে। তার এই ফাঁদে পড়ে এলাকার বহু মানুষ আজ নিঃস্ব। এই অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। এছাড়া তার কাছে অবৈধ আগ্নেআস্ত্র আছে বলে জানান তিনি। সমাজের এধরনে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সংখ্যালঘুদের সুরোক্ষার জন্য প্রশাসনের সুদৃৃষ্টির কামনা করেন তিনি।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে খলিলুর রহমান জানান, তিনি কখনও কারো ঘের দখল করেন নি।এলাকায় কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই তার। এছাড়া রাজনৈতিক কারনে তার নামে মিথ্যা মামলা সহ কারাবরন করতে হয়েছে তার। অস্ত্রের বিষয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন তার নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে এমন দাবি তার।
সাতক্ষীরা (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার কাজী আবু দাউদ জানান, খলিলুর রহমানের নামে একটি মামলা সিআইডিতে তদন্তধীন রয়েছে। তার সকল বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।