
তালা প্রতিনিধি : দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে কর্মরত ৬৭৮ জন জাল সনদধারী শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাদের এমপিও বন্ধ করার এবং অবৈধভাবে এমপিও বাবদ ভোগ করা টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে। এ ছাড়া জাল সনদধারী যেসব শিক্ষক অবসরে গেছেন তাদের অবসর সুবিধা বাতিল করতে বলেছে মন্ত্রণালয়। যারা অবসরে গেছেন বা চাকরি ছেড়েছেন তাদের টাকা অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করতে বলা হয়েছে। আর জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে অধিদপ্তরকে বলেছে মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ দেশব্যাপী এক জরিপে এর সত্যতা প্রকাশ পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব সেলিম শিকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ পেলে সাতক্ষীরায় শুরু ব্যপক হয় তোলপাড়। সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার ১৬ জন শিক্ষক রয়েছেন এই তালিকায়। এরমধ্যে তালা উপজেলা যারা রয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক সুচিত্রা রায়, ফলেয়া চাঁদকাটি অগ্রণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক শেখ ফিরোজ আহমেদ ও শুভাষিনী কলেজের প্রদর্শন/কম্পিউটার শিক্ষক মোঃ ইয়াকুব আলী শেখ।
সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার অজিত কুমার সরকার প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাল সনদধারী শিক্ষকদের বিষয়টি জেনেছি। সারা দেশে ৬৭৮ শিক্ষককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার ১৬ জন শিক্ষক রয়েছেন এই তালিকায়। তালা উপজেলায় রয়েছেন ৩ জন। তবে এমন নির্দেশনাটি অফিসিয়ালি এখনও আমরা পায়নি। পেলে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।