তালা প্রতিনিধি : নানাবিধ শারিরীক সমস্যায় গুরুতর অসুস্থ ছায়রা বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে স্ত্রী পরিচয়ে তালা হাসপাতালে করেন জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তি। হাসপাতালে ভর্তির সময় পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন ছায়রা বেগম। এরপর রক্ত বমি শুরু হলে কথিত পরিচায়ধারী জাহাঙ্গীর আলম ঔষধ আনতে গিয়ে আর ফেরেননি। গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে তালা সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছায়রা বেগম। তারপর থেকে হাসপাতালে পড়ে ছিলো মরদেহ। মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর খবর দেওয়া জন্য ভর্তির সময় নথিতে দেওয়া তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জন্ম হয় রহস্যের। প্রশ্ন আসে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি অপমৃত্যু!
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের সাথে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে পাইকগাছা থানাধীন শ্রীরামপুর গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। এদিকে মরদেহের ছবি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে মৃত্যুর পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার তার বোন মনোয়ারা বেগম হাসপাতালে আসেন মরদেহ নিতে। তবে নানান জটিলতা থাকার কারণে দাফনের জন্য মরদেহটি নিতে পারেননি। এমনকি সেই থেকে খোঁজ মিলছেনা স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের। এনিয়ে এলাকায় বেশ গুঞ্জণ চলছে।
অপরদিকে মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে যান থানা পুলিশ। মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ঘোলাটে থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করেননি তারা। স্বভাবিক মৃত্যু না কি অন্য কোন রহস্য রয়েছে তা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, ছায়রা বেগমের মৃত্যুর ঘটনা শুনে হাসপাতালে যায়। ডাক্তার ধারণা করেছেন ষ্ট্রোকজনিত মৃত্যু। তবে বিষয়টি ঘোলাটে থাকায় এবং আসল ঘটনা উদঘাটনের জন্য ময়নাতদন্তের জন্য শনিবারে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানতে পারবো স্বভাবিক মৃত্যু না কি অন্য কারণ রয়েছে।
তালায় স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী, অতঃপর স্ত্রীর মৃত্যু!
Leave a comment