তালা প্রতিনিধি : প্রতরণা মাধ্যমে টাকা নিয়ে জমি লিখে না দিয়ে জমি থেকে বিতাড়িত করার অভিযোগ উঠেছে তালা উপজেলার এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে একাধিক বার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চেয়ে কোন প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ ভ্ক্তুভোগী পরিবারের। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হলেন তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের মকসেদপুর গ্রামের ব্রজেন দাশের ছেলে ও খলিষখালী ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সুবীর দাশ । ভুক্তভুগি নারী একই এলাকার মৃত বলয় দাশের স্ত্রী কল্যানী দাশ।
সরোজমিনে গেলে ভুক্তভোগীর ওই নারী জানান, অভাবের তাড়নায় তিনি ও তার স্বামী দীনমজুরের কাছ করতে সুবীর দাশের বাড়িতে। বিগত ২০বছর তার স্বামীর কাছ থেকে ২২শতক জমি বিক্রির কথা বলে জমির মূল্য অনুযায়ী ৩৬হাজার টাকা নেন মেম্বর সুবীর দাশের পিতা ব্রজেন দাশ। এরপর থেকে ওই জমি ভোগ দখলে ছিলেন তারা । হঠাৎ বছর কিছুদিন আগে সুবীর দাশের পিতার মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ উপস্থিত হলে ছেলে সুবীরকে জমি রেজিষ্ট্রি করার কথা বলে মৃত্যবরণ করেন ব্রজেন দাশ। এরপর বছর ৫ আগে তার স্বামী মারা যায়।সহায় সম্বল হারিয়ে তিনি সুবীর দাশের কাছে স্বামীর স্মৃতিচিহ্ন জমিটুকু রেজিট্রির কথা বলে নানা রকম টালবাহানা করতে থাকেন। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তির কাছে বসলেও সে জমি রেজিট্রির কথা বলে তালবাহানা করতে থাকেন সুবীর দাশ।
তিনি আরো বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সুবীর। বেপরয়া হয়ে ওঠেন। সদস্য হওয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় তাদের ভোগদখল জমি থেকে বিতারিত করে সে। এরপর তার কাছে গেলে তাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। এমন অবস্থায় তিনি স্বামীর শেষ স্মৃতি টুকু ফিরে পেতে আকুতি জানান তিনি।
ভুক্তভুগীর ছেলে নীহার দাশ জানান, তিনি বর্তমানে খুবই অসুস্থ। সংসারে নুন আনতে পানতা ফুরায়। পাওনা টাকাসহ জমির জন্য বহু লোকের দ্বারস্থ হয়েছেন কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি। শেষ সম্বল তার পৈত্রিক জমি তাও না দিয়ে সুবীর দাশ সেই সম্পতি অন্য জায়গায় বিক্রি করেছেন। এমন অবস্থায় সুবিচার চেয়ে তিনি প্রশাসনের সুদৃৃষ্টি কামনা করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ইউপি সদস্য সুবীর দাশ জানান, আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি। জমির বিষয়ে একটা ঘটনা আছে এটা সত্য। এটা আমার ব্যাক্তিগত বিষয় আপনারা যা পারেন লেখেন।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল জানান, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
তালায় স্বামীর শেষ স্মৃতিচিহ্ন পেতে বিধবার আকুতি!
![](https://dainikjanmobhumi.com/wp-content/uploads/2024/06/তালা-330x220.jpg)
Leave a comment