মানুষের পরিবর্তে গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগী পালন

 পরিদর্শনে ক্ষুব্ধ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের দুধলীচর আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি দুধলীচর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি। আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৬টি ঘর যাদের নামে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে ১৫টি পরিবার সেখানে বসবাস করলেও ৩১টি ঘর খালি পড়ে থাকতে দেখে জেলা প্রশাসক উপজেলা প্রশাসরে উপর ক্ষুব্ধ হন। একই সময়ে তিনি সরেজমিন দেখতে পান ১০টি ঘরে অবৈধভাবে ১০টি পরিবার বসবাস করে। তাদের কোন দলিল নেই। এছাড়া অধিকাংশ ঘরে মানুষের পরিবর্তে গরু, ছাগলসহ হাঁস-মুরগী পালন করার করা হয়। এদিকে নির্মাণ কাজে সম্পূর্ণ অনিয়ম ও স্থানীয় ভুমিহীনদের নামে ঘর বরাদ্দ না দিয়ে সেখানে উপজেলা প্রশাসন ভিন্ন অঞ্চলের ভূমিহীন পরিবারের নামে ঘর বরাদ্দ দেন সে সময়। এর ফলে খলিষ খালী ইউনিয়নের বাইরের কোন মানুষ সেখানে বসবাস করতে আসেনি দীর্ঘ তিন বছরেও। ফলে সরকারের লাখ-লাখ টাকা ব্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প কোন কাজে আসছে না।

প্রকল্প পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির দেখতে পান ৪৬টি ঘরের মধ্যে মাত্র ১৫টি ঘরে দলিল পেয়ে বৈধভাবে ১৫টি পরিবার বসবাস করছেন। এ ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বিষয়টি তালা সহকারী ভূমি কমিশনার আরাফাত হোসেনকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। একপর্যায় সেখানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হোসেনকে রেখেই আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা থেকে চেলে যান জেলা প্রশাসক। সকালে জেলা প্রশাকের নির্দেশে সেখানে দুপুরের পর যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার মো: আরাফাত হোসেন, খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাবীর হোসেন, খলিষখালী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: সিদ্দিক উল্লাহ, ইউপি সদস্য মো: আছাদুল ইসলাম।