তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে তেরছি মৌজায় মথুরা সরকারী জলাশয় দখলবাজদের হাত হতে রক্ষা ও জলাশয় অবমুত্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে মথুরা বিলে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে গফ্ফার সরদার, জামাল সরদার, আয়ুব আলী সরদারসহ কয়েকজন ভুক্তভোগি জানান, তেরছি মৌজায় ১নং খতিয়ানে জেএল নং ১০১ এর তালা ও কেশবপুর উপজেলার লাউতাড়া, হাড়িয়াঘোপ, ফতেপুর, মোমিনপুর, খোপদহসহ ৮টি গ্রামের কয়েকশ’ বিঘা খাস জমি রয়েছে। পূর্বের বৎসর গুলোতে সরকারী জলাশয় উন্মুক্ত হিসেবে জনসাধারণ মাছ মেরে জীবিকা নির্বাহ করতো। বর্তমানে সেই জমি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ফতেপুর এলাকার মিজানুর রহমান, লুৎফর রহমান শেখ, আব্দুর রহিম, আসাদুজ্জামান, আমজাদ সরদারসহ দখলবাজরা ঘের হিসেবে এর নামকরণ করে বিল মথুরা সমবায় সমিতি ব্যানারে ২৫/৩০ একর জমি জবর দখল করেছে। এখানে সরকারীভাবে তালা মৎস্য অফিস হতে প্রতি বৎসর মাছ অবমুক্ত করা হতো। জলাশয়ে দেশীয় কৈ, শিং, মাগুর, টাকিসহ বিভিন্ন প্রকৃতির মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত ছিলো। আমরা জলাশয় অবমুক্তির কথা বললে তারা অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করতে আসে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে, কোন সংঘাতে না জড়িয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছি। এ সময় তারা জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কেশবপুর ফতেপুর এলাকার ঘের মালিকের পক্ষে আসাদুজ্জামান, আলমগীর হোসেন, মতিয়ার রহমান, শহিদুল ইসলাম জানান, ‘আমরা ৮৫ পরিবার মিলে বিল মথুরা সমবায় সমিতি ব্যানারে ঘের করেছি। তবে আমরা তালার কোন জমি দখল করিনি।’
এ বিষয়ে তালার তেঁতুলিয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি সম্প্রতি আমার নজরে এসেছে। গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছে। তিনি বলেন, মথুরা বিলে তালা ও কেশবপুর উপজেলার সরকারী খাস জমি আছে। এই দু’টি উপজেলার সীমানা নির্ধারণ করা খুবই প্রয়োজন। কেশবপুরের ফতেপুর গ্রামের লোকজন তালা উপজেলার বিল দখল করেছে বলে গ্রামবাসিরা অভিযোগ করেছে। তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জরুরি ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত