শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা
তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা মাছ ধরার জন্য উৎসবমূখর পরিবেশে সুন্দরবনে যাত্রা করবে আজ (১ সেপ্টেম্বর) বুধবার। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় পহেলা জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী খালে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বন বিভাগ।
শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী জালাল মোল্লা ও তুহিন বয়াতী জানান, সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল প্রায় দুই হাজার পারমিটধারী জেলে নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ মৎস্য আহরনে সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য উৎসবমূখর হয়ে আছে। গত তিন মাস মাছ ধরতে না পেরে জেলেরা ধার দেনা করে মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ এনে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেছে, সুন্দরবনে মৎস্য আহরনের উপর প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবন জীবিকা জড়িত রয়েছে। জালাল মোল্লা জানান, তিনি মহাজনের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা এনে সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য প্রতিটি জেলে নৌকায় ১৫/২০ হাজার টাকা করে দাদন ( অগ্রিম টাকা) দিয়েছেন।
বন বিভাগের শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা আঃ মান্নান জানান, ১ সেপ্টেম্বর জেলেদের সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য পাশ দেওয়া হবে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, মৎস্য প্রজনন ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সুন্দরবনে জুন থেকে আগস্ট তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়।
সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জুন জুলাই ও আগস্ট মাস হচ্ছে মৎস্য প্রজননের জন্য উপযুক্ত মৌসুম। এই সময় সাধারণত সকল মাছে ডিম ছাড়ে। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সকল প্রকার মৎস্য আহরন বন্ধ থাকে। সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস এর (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সালে এ সিদ্ধান্ত নেয় বন বিভাগ। এর ফলে সুন্দরবনে তিন মাস নিরাপদে মৎস্য প্রজনন ঘটে থাকে।
তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরার জন্য আজ দুই হাজার জেলের সুন্দরবনে যাত্রা
Leave a comment