জন্মভূমি ডেস্ক : উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। শনিবার সকাল ৬টায় নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে কয়েক দফায় পানি বাড়া কমার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে গত ১২ দিনে শতাধিক পরিবার গৃহহারা হয়েছেন।
উজানের ঢল সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে জুন মাসের শুরু থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। প্রথম দফা স্বল্প মাত্রার বন্যার পর পানির গতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও শুক্রবার রাত থেকে বাড়তে শুরু করে পানি। ফলে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, সংশ্লিষ্টরা শনিবার সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির লেভেল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এখানে বিপদসীমা হলো ৫২ দশমিক ১৫ মিটার।
বিকাল ৩টায় পানি কমে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বর্ষা মৌসুমে জুন মাসের শুরু থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। প্রথম দফা স্বল্প মাত্রার বন্যার পর পানির গতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও শুক্রবার রাত থেকে বাড়তে শুরু করে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত