জন্মভূমি রিপোর্ট
তেরখাদা উপজেলার অর্জুনা বলর্দ্ধনা গ্রামের কৃষক মো: বাবর আলী শেখ (৪৫) কে ধাঁরালো অস্ত্রাঘাতে খুন ও কয়েকজনকে জখমের ঘটনায় গত পাঁচ দিনেও এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির কেউ গ্রেফতার হয় নি। উদ্ধার হয় নি ঘাতক দলের ব্যবহার করা অস্ত্রগুলো।
গত ২৪ ফেব্রæয়ারী, বিকেল আনুমানিক পাঁচটা। কৃষক বাবর বাড়ির নিকটতম দূরত্বের অর্জুনা বলর্দ্ধনা খালের পার্শ্ববর্তী বোরো ধান ক্ষেতে কাজ করছিলেন। আসামিরা ঘটনাস্থলে পৌছে অশ্লীল বাক্য ছুড়তে শুরু করে। তাদের হাতে চাইানজ কুড়াল, রামদা, ঝুপি, শড়কি ও বাঁশের লাঠি ছিল। গালি-গালাজ করার কারণ জিজ্ঞাস করতেই প্রধান আসামি সাহেব আলী শেখ অশ্রাব্য শব্দ দিয়ে সম্বোধন করে বলে উঠেন ওরা জমি খাইতে চায়, জানে শেষ করে দে। তখন আততায়ীদের একজন বাবরের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়তে গেলে দু’জন তাকে ধরে রাখে। আরেকজন তার গলার বামপাশে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ মারে। এতে তার গলার শিরা-উপশিরা ও হাড়-মাংস কেটে মারাত্মক জখম হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এজাহার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমেত, অকুস্থলে ছুটে যাওয়া নিহতের ভাই মো: সাকায়েত শেখকে লাঠির আঘাতে আহত করার পাশাপাশি ধাঁরালো ফলাযুক্ত ঝুপি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। সন্ত্রাসীরা আরেক ভাই মো: আজিজুর শেখকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। অপর ভাই মো: আহাদুল শেখকে শড়কির আঘাতে জখম করা হয়। আহত ও নিহতদের বৃদ্ধ মা আয়তুন্নেছাও হামলাকারীদের পিটুনিতে আহত হন। তাদের আর্তচিৎকার শুনে ছুটে আসা কয়েকজনও দুবৃত্বদের এলোপাতাড়ি মারপিটের শিকার হন। হত্যা ও জখমের ঘটনায় আহত সাকায়েত শেখ গত ২৭ ফেব্রæয়ারী ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ বর্বরতা সংঘটিত হয়েছে। জখম হওয়া সাকায়েত, আজিজুর ও আহাদুল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক মাজরিহা হোসাইন দৈনিক জন্মভ‚মিকে বলেন, আসামিরা সবাই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেফতার ও খুন-জখমে ব্যবহার হওয়া ধাঁরালো অস্ত্রগুলো উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত