তেরখাদা প্রতিনিধি : অবহেলিত জনপদ নাতে পরিচিত তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট এবং স্কুল কলেজের পাশে প্রতিষ্ঠিত ছোট-বড় মুদি দোকান ও চায়ের স্টলগুলোতে টিভি সিডির নামে চলছে অশ্লীল ছবি প্রদর্শন এবং কেরাম বোর্ড খেলার নামে চলছে জুয়া। বিপথগামী হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাজার-হাজার ছাত্র-যুবক। সকাল থেকেই গ্রামাঞ্চলের দোকানপাট গুলোতে টিভি সিডি চালু করা হয়। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ের ছাত্র-যুবকরা ক্রমান্বয়ে এসব মুদি এবং চায়ের দোকানে অশ্লীল ছবি দেখে এবং অনেকে কেরাম বোর্ড খেলায় ভীড়ে যায়। অশ্লীল ছবি এবং কেরাম বোর্ডে ভীড়ে যাওয়ায় এদের আর স্কুল-কলেজে যাওয়া হয়না। এক পর্যায়ে কোমলমতী এসব ছাত্র যুবকের বদঅভ্যাস নেশায় পরিণত হয়ে যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তেরখাদার প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তেরখাদার ৬টি ইউনিয়নের শতাধিক স্পটে চলছে কেরাম বোর্ড খেলার নামে জুয়া। আর মুদি দোকান ও চায়ের স্টলে ভীড় করে স্কুল কলেজের ছাত্র-যুুবকরা। একাধিক শিক্ষক জানান, অশ্লীল ছবি দেখার জন্যে এবং কেরাম বোর্ডের নেশায় আশক্ত হয়ে স্কুল কলেজে যাওয়ার পথে ছাত্ররা স্টলগুলোতে ভীড়ে যায়। অনেক গরীব পরিবারের সন্তানেরাও টিভি সিডি ও কেরামের নেশায় আশক্ত হয়ে তাদের লেখাপড়া ধ্বংশের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। একাধিক শিক্ষক এবং সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন, অশ্লীল ছবি দেখে অনেক ছাত্র ও যুব সম্প্রদায় উত্তেজিত হয়ে ইভটিজিং এর মত কঠিন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটাচ্ছে। আবার অনেক ছাত্র-যুবক কেরাম বোর্ডের খেলার নামে জুয়া খেলে হাজার-হাজার টাকা নষ্ট করছে। আর এই জুয়ার টাকা যোগাড় করতে না পেরে অনেকেই অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। জড়িয়ে পড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানাবিধ অপরাধ কর্মকান্ডে। ছোট-ছোট ঘটনা ঘটাতে-ঘটাতে এক সময় এরা বড়-বড় ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। জীবনের ভয়ে অনেকে তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয়ও নিতে যায়না। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় প্রশাসনের নজর না পড়ায় অহরহ অসামাজিক কর্মকান্ড ঘটে যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে যত্রতত্র দোকান গড়ে ওঠায় এবং এসব দোকানে টিভিসিডি এবং দোকানের সাথে মিশিয়ে কেরাম বোর্ডের নামে জুয়ার আসর বসানোর কারণে প্রাথমিক শিক্ষা হুমকির মুখে দাঁড়িয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ঝরে পড়ার সম্ভাবনা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত