তেরখাদা প্রতিনিধি : তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন ছোট বড় সড়কে গুলোতে স্যালো ইঞ্জিন চালিত টলি বেপরোয়াভাবে চালানোর কারণে যত্রতত্র ঘটছে অগণিত দুর্ঘটনা। অহরহ ঘটে যাওয়া ছোটো বড় দুর্ঘটনার কারণে প্রাণ দিতে হচ্ছে অনেকেরই। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে অভিশপ্ত জীভন যাপন করছে। তেরখাদা উপজেলার ৬ইউনিয়নের সড়ক গুলোতে চলছে স্যালোইঞ্জিন চালিত টলি। টলির বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ বিভিন্ন ছোটো বড় সড়কে ইট,বালি,সিমেন্ট, কাঠ, ধান চালসহ বিভিন্ন পণ্য অপরিমান বোঝাই করে চলাচল করে। অদক্ষ এবং লাইসেন্স বিহীন টলি ও নসিমন চালকদের বেপরোয়া চালানোর কারণে নিত্যদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকার সুধী ও সচেতন মহল জানান, বেপারোয়ভাবে টলি নসিমন চালানোর কারণে প্রতি বছর তেরখাদার বিভিন্ন এলাকায় ঘটছে অগণিত দুর্ঘটনা। গ্রামাঞ্চলের সড়ক গুলো এমনিতে চাপা। অনেক সময় সড়কের পাশে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বসে আড্ডা দেয়। সড়কে অনেক মোড়ও আছে। সরু এসব সড়কে টলি চালকরা প্রবেশ করে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় টলি চালায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অনেক সময় এরা দুর্ঘটনা ঘটায়। নিজেরা অনেক সময় খালের মধ্যে চলে যায়। এদের অসাবধনতায় টলি চালানোর কারণে সড়কের পাশ দিয়ে হেটে চলার সময়ও পথচারীদের পড়তে হয় চরম ঝুঁকিতে। পথচারীরা তাদের নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখলেও চালকরা দুর্ঘটনায় ফেলে দেয়। সড়কে চলাচলকারী টলিতে বসানো হয় স্যালো ইঞ্জিন। নিজেদের তৈরী করা ব্রেক। একটু জোরে ব্রেক দিলেই ব্রেক ফেল করে। টলি চালকরা দ্রুত গতিতে টলি চালালে হটাৎ ব্রেক দিতে গেলেই ব্রেক ফেল করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ করেননি আজও। বৈধ কাগজপত্র বিহীন এসব টলি চালকরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটালেও এরা বের হয়ে যায় আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে। অপরদিকে টলি চালকরা সম্পূর্ণ অদক্ষ এবং অনেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এদেরও কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। অযোগ্য অদক্ষ চালক দিয়ে টলি চালানোর কারণেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। বৈধকাগজপত্র থাকলে এরা বেপরোয়া টলি চালাতো না। ফলে দুর্ঘটনায় কবলিত হতো কম। অদক্ষ চালকরা টলিতে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুন পন্য/মালামাল লোড করে আনা নেয়া করায় দুর্ঘটনা বেশী ঘটে। এসব চালকদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী হয়ে পড়েছে।