জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনায় সবুজ হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (জুলাই) খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলমগীর হোসেন।
রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি পলাতক ছিলেন। তারা হলেন- তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের তকুব্বর ফকিরের ছেলে রোমান ফকির ও আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে মিলু। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুরাদ শরীফ ও খসরু মোল্লা।
অপরদিকে এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানায়, উপজেলার আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামের জনৈক লুৎফর রহমানের ছেলে পলাশ ওরফে সবুজ হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি মিলু মোল্লার বাড়িতে পলাশের যাতায়াত ছিল। এ কারণে মিলু মোল্লা পলাশ ও তার স্ত্রী রিক্তা বেগমকে সন্দেহ করত। এ অবস্থায় মিলু মোল্লা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে পলাশকে ডেকে নেয়। তারপর থেকে অনেক খোঁজ নেওয়ার পর পলাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরে পলাশের পরিবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে মিলু মোল্লা ও তার স্ত্রী অবৈধ প্রেমকে ঠেকানোর জন্য অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বারাসাত গ্রামের উত্তর পাশে বিলের ভেতর নিয়ে গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।
২০১০ সালের ৮ অক্টোবর আসামি রোমান মোল্লা তার শ্বশুরবাড়ি রাজাপুর এসে স্থানীয় কয়েকজনের সমনে পলাশ হত্যাকাণ্ডের গোমর ফাঁস করে। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন পলাশের মা বেগম বিবি বাদী হয়ে চারজন আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। আদালতে আসামি রোমান ফকির গ্রেফতার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করেন।
২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল এ মামলার আসামি রোমান ফকিরের দেখানো স্থান থেকে পলাশের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেরখাদা উপজেলার পাতলা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বাবর আলী খান ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ২২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত